ঢাকা: বাংলাদেশে উন্নয়ন সহযোগিতা আরও জোরদার করবে কোরিয়া আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (কোইকা)। ঢাকায় সংস্থাটির নীতি-নির্ধাকরা বলেছেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে সহযোগিতা জোরদার করা হবে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে কোইকা আয়োজিত এক ওয়ার্কশপে এ কথা জানানো হয়।
কোইকার বাংলাদেশ অফিস ‘কোইকা -এনজিও পার্টনারশিপ এনহ্যান্সমেন্ট ওয়ার্কশপ’ নামে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে। এতে কোইকা অর্থায়িত এনজিও, সরকারি প্রতিনিধি এবং উন্নয়ন অংশীদাররা অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে কোইকার বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর জিহুন কিম নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলির সঙ্গে শক্তিশালী অংশীদারত্বের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন এবং সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের প্রতি কোইকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
দিনব্যাপী ওয়ার্কশপে উন্নয়ন অংশীদারদের একত্রিত করে সহযোগিতা জোরদার ও বাংলাদেশে প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে এনজিও প্রকল্প উপস্থাপনা, সরকারি সম্পৃক্ততা এবং অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ভাগাভাগি করা হয়।
ওয়ার্কশপে অংশীদার এনজিওগুলির মধ্যে ছিল এডিআরএ, অক্সফাম, গ্লোবাল কেয়ার, হ্যাবিটেট ফর হিউম্যানিটি, চাইল্ড ফান্ড, কন্সার্ন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড, সেভ দ্য চিলড্রেন ও হার্ট টু হার্ট ফাউন্ডেশন।
ওয়ার্কশপের আগে ২২ সেপ্টেম্বর রংপুরে একটি মাঠ পরিদর্শন করা হয়, যেখানে কোইকা কর্মকর্তা এবং সাতটি অংশীদার এনজিওর প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা রংপুরে ‘বাংলাদেশে মাতৃ ও নবজাতক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ’ প্রকল্পটি পরিদর্শন করেন, যা কোইকার সহায়তায় ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’ দ্বারা বাস্তবায়িত হয়েছে।
১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নে এই ফ্ল্যাগশিপ উদ্যোগটি বাংলাদেশে কোইকার বৃহত্তম স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি, যার লক্ষ্য রংপুর বিভাগ জুড়ে মাতৃ ও নবজাতকের স্বাস্থ্য উন্নত করা।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কোইকা বাংলাদেশের ডেপুটি ডিরেক্টর সুজিন কং, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর পরিচালক (নিবন্ধন ও নিরীক্ষা) ড. কে. এম. মামুন উজ্জামান এবং পুলিশের বিশেষ শাখার অতিরিক্ত ডিআইজি (এসসিও) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
টিআর/এইচএ