ঢাকা: এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় এলজি, বাটারফ্লাই ও হাইসেন্স’র পণ্যমূল্যে ছাড়ের ওপের ছাড় দেওয়া হচ্ছে।
আগে পণ্যবিশেষে মূল দামের ওপর ৫ থেকে ১০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছিল।
সেই সঙ্গে বিদ্যুৎচালিত পণ্য নির্মাতা এ তিন ব্র্যান্ডের পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে একই প্যাভিলিয়নে।
শনিবার (১০ জানুয়ারি) বাটারফ্লাই প্যাভিলিয়নের সহকারী ব্যবস্থাপক এইচ.এম. রাসেল এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ ছাড়া বিক্রিত পণ্য বাটারফ্লাইয়ের প্যাভিলিয়ন থেকে বিনা খরচে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এইচ.এম. রাসেল বাংলানিউজকে জানান, ফ্রিজ, টিভি, এসি বাসায় পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি কোনো ধরনের পারিশ্রমিক ছাড়াই ক্রেতার বাসায় গিয়ে এসব পণ্য স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া ১০ হাজার টাকা মূল্যের পণ্য থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ মূল্যের এলজি, বাটারফ্লাই ও হাইসেন্সের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে থাকছে লাভবিহীন কিস্তির ব্যবস্থা। তবে কিস্তির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় মাস।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং সিটি ব্যাংকের ক্রেডিটকার্ডধারী যে কোনো ক্রেতা এই কিস্তি সুবিধা পাবেন বলে জানান প্যাভিলিয়নের এই কর্মকর্তা।
শনিবার বাটারফ্লাইয়ের প্যাভিলিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, সর্বনিম্ন ৫৫ ইঞ্চি থেকে শুরু করে ইচ্ছেমতো আকারের ওএলইডি (অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড) ওয়াল টিভি (দেয়াল টেলিভিশন) নিয়ে এসেছে এলজি। এছাড়া দেশে এবারই প্রথম ওএলইডি কার্ভ (বাঁকানো) টিভি এনেছে এ প্রতিষ্ঠান। তবে কার্ভ টিভির নির্ধারিত আকার রয়েছে।
বাটারফ্লাইয়ের প্যাভিলিয়নে বাটারফ্লাই এবং হাইসেন্সের পণ্যের পাশাপাশি শোভা পাচ্ছে এলজির নতুন এ দুটি পণ্য।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান হলেও এ মেলায় এলজির নিজস্ব কোনো প্যাভিলিয়ন নেই। বাংলাদেশে এলজির পণ্যের প্রধান আমদানিকারক এবং পরিবেশক হওয়ায় বাটারফ্লাইয়ের প্যাভিলিয়নেই পরিবেশন করা হচ্ছে এলজির পণ্য।
বাটারফ্লাই প্যাভিলিয়নের কর্মরতদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওএলইডি (অর্গানিক লাইট-এমিটিং ডায়োড) ডিসপ্লেযুক্ত ওয়াল এবং কার্ভ টিভি দুটি এলজির নতুন উদ্ভাবন।
এলজি-ই বিশ্বে প্রথম এত বড় আকারের টেলিভিশন নিয়ে এসেছে। বাণিজ্য মেলা উপলক্ষে এ দুটি মডেলের টিভি প্রদর্শন করা হলেও এখনো মূল্য সংযোজন করা হয়নি।
মেলার সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে এইচ.এম. রাসেল বলেন, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে ভয়ে ছিলেন তারা। তবে এখন মনে হচ্ছে, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। বাণিজ্যমেলার বিষয়টি রাজনীতিকদের বিবেচনা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার অভাব বোধ করলে মেলায় ক্রেতা দর্শনার্থীদের সমাগম বাড়বে না।
১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৫-এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের এ বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ব্রিটেন, জার্মানিসহ মোট ১৫টি দেশ অংশ নিচ্ছে। মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য মোট ৪৮টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫