ঢাকা: ‘নিরাপত্তাহীনতা থাকলে কোনো আয়োজনই প্রাণবন্ত হয় না। ভয়-শঙ্কা নিয়ে আর যাই হোক মেলা জমে না।
শনিবার (১০ জানুয়ারি) মেলার প্রথম প্রহরেই একমাত্র ছেলে শাতিলকে নিয়ে এসেছেন। বেলা ১১টার দিকে আরএফএল’র প্যাভিলিয়নের সামনে কথা হয় এই শিক্ষিকার সাথে। তখনো অধিকাংশ স্টল, প্যাভিলিয়ন খোলা হয়নি।
আলাপচারিতায় তিনি বলেন, `যানবাহনসহ সব ঠিকঠাক চললেও বিএনপি ডাকা অবরোধ চলছে। আর এখন রাজনৈতিক কর্মসূচি মানেই তো গাড়ি পোড়ানো, মানুষ হত্যা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ইত্যাদি। তাই ভয় হয়, কখন কোন গাড়িতে কে আগুন দেয়। কি আর করা বলুন? আমার এই ছেলেটা নাছোড়বান্দা। তাকে আজকেই স্মার্টফোন কিনে দিতে হবে। তাও আবার মেলা থেকে। তাই বাধ্য হয়েই মেলায় আসা। ’
মেলা সংলগ্ন এলাকা তালতলার বাসিন্দা রিপন সরকার (৫৫) মেলায় ফাস্টফুডের দোকান করেন। জানতে চাওয়া হলে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘এ মেলায় উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তসহ প্রায় সব শ্রেণির লোকেরাই আসে। সবাই যে কেনাকাটা করতে, তা না। কেউ কেউ ঘুরতে, আড্ডা দিতেও আসে। কেউ আসে দেখতে।
ক্রেতা-দর্শনার্থী নিয়েই মেলা জমে উঠে। কিন্তু এবার মাসব্যাপী মেলার একভাগ চলে গেলেও মেলা জমে উঠছে না।
তিনি বলেন, ‘গতকাল (শুক্রবার, ৯ জানুয়ারি) মেলায় কিছুটা ভিড় হয়েছে। আজকেউ হবে হয়তো। কিন্তু গত বছর মেলা শুরু থেকেই ছিল জমজমাট। আসলে নির্বিঘ্নে কেউ যদি মেলায় আসতে না পারে তাহলে কি মেলা জমে?’
রিপন সরকারের মতে গতবারের চেয়ে এবারের মেলায় প্রাইভেট কার, বাইক, সিএনজির মতো ব্যক্তিগত যানবাহন অনেক কম। রাজনৈতিক কারণে মানুষ গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছে না। আর এ কারণে মেলাও জমছে না খুব একটা। তাছাড়া রাস্তাঘাটের ভয় তো আছেই।
শনিবার (১০ জানুয়ারি) ঢাকা আন্তর্জাতিক মেলার ১০ম দিন। মাস হিসাবে মেলা ৩ ভাগের এক ভাগ সময় পার করছে। সকাল ১০টায় মেলার প্রবেশ দ্বারগুলো উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। কিন্তু মেলার কোনো প্যাভিলিয়ন, স্টলই তখন পর্যন্ত খোলা হয়নি। তবে বেলা সাড়ে ১১টার নাগাদ প্রায় সবগুলো স্টল, প্যাভিলিয়নই খোলা হয়।
বেলা সাড়ে ১২টা/ ১টা থেকে মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। পড়ন্ত বেলায় উপচে পড়া ভিড় জমে। স্টল, প্যাভিলিয়নে বিক্রয় কর্মীদের দাবি সহিংসতা না থাকলে হরতাল-অবরোধেও মেলা জমবে।
গত ১ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৫ এর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর(ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সালের এ বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, বৃটেন, জার্মানিসহ মোট ১৫টি দেশ অংশ নিচ্ছে। মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য মোট ৪৮টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৫
** এলজি-বাটারফ্লাই-হাইসেন্স’র পণ্যে ছাড়ের ওপর ছাড়!
** সাধ-সাধ্যের মধ্যে অ্যালয়ের আসবাব পণ্য