ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিনিয়োগ বাড়াতে থাই ব্যবসায়ীদের প্রতি বিটিসিসিআইয়ের আহ্বান

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫
বিনিয়োগ বাড়াতে থাই ব্যবসায়ীদের প্রতি বিটিসিসিআইয়ের আহ্বান ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যকার ব্যবসায়িক সম্পর্ক আরও সংহত করতে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ-থাই চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিটিসিসিআই)।

রোববার (১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার একটি হোটেলে দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে আয়োজিত ব্যবসায়িক সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।

সভায় অংশ নেন থাই বিনিয়োগ বোর্ডের মহাসচিবসহ এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও দেশটির প্রধান আটটি ব্যবসায় খাতের ২০ জন প্রতিনিধি।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড পরস্পর পরীক্ষিত বন্ধু উল্লেখ করে বিটিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সাজ্জাতুজ জুম্মা বলেন, এই দুই বন্ধু রাষ্ট্রের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক জোরদারে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বিটিসিসিআই।

তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশি পণ্য আমদানির পরিসীমা বাড়াতে হবে।

সাজ্জাতুজ জুম্মা উল্লেখ করেন, থাই পণ্য গুণগত মানসম্পন্ন হলেও অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের পণ্যের বেশি দামের, আর এটাই দু’দেশের মধ্যকার বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের ক্ষেত্রে দৃশ্যত প্রধান বাধা।

তিনি বাংলাদেশ থেকে ওষুধ, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া, তৈরি পোশাক ও মৎস্যসম্পদ আমদানি করতে থাই ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও বিনিয়োগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যকার বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শিল্পখাতের সম্পর্ক বাড়াতে বিটিসিসিআইয়ের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সভায় থাই বিনিয়োগ বোর্ডের মহাসচিব চোকেদি কায়েস্যাংয়ের বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে দু’দেশের বিনিয়োগ বোর্ডের সহযোগিতামূলক কাজে আমি সহযোগিতা করবো।

সভায় থাই বিনিয়োগ বোর্ডের মহাসচিব চোকেদির হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন বিটিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। এ সময় বিটিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট চার্লস সি আর পত্র উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন থাই দূতাবাসের ডিরেক্টর ও মিনিস্টার কাউন্সেলর (কমার্শিয়াল) ওয়াচারা চুমন্যাওং, বিটিসিসিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার রাশে মাকসুদ খান, সাবেক প্রেসিডেন্ট এমএ মোমেন, ডিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বিটিসিসিআইয়ের পরিচালক আসিফ ইব্রাহীম, উত্তরা মোটর্সের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান এবং দু’দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যবসায়ীবৃন্দ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।