ঢাকা: ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে অভিনব পণ্য উৎপাদন করে আর্থিক ভাবে সাবলম্বী হয়েছেন এমন ছয়জন উদ্যোক্তাকে পুরস্কৃত করেছে বিদেশি সিটি ব্যাংক এনএ। একই সঙ্গে উদ্যোক্তাদের ঋণ দিয়ে সহযোগিতা করা দু’টি ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকেও পুরস্কৃত করা হয়েছে।
শনিবার (১ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পুরস্কৃতদের হাতে চেক তুলে দেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান।
সিটি ব্যাংকের এই উদ্যোগে সহায়তা করেছে ক্রেডিট অ্যান্ড ডেভেলপ ফোরাম (সিডিএফ)। ২০০৫ সাল থেকে প্রতিবছর নিয়মিত এ পুরস্কার দিয়ে আসছে বিদেশি এই ব্যাংকটি।
শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার মো. ওলি উল্লাহ। তিনি জনতা ইঞ্জিনিয়ারিং নামের একটি কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরি কারখানার মালিক।
ছোট বেলায় বাবা মারা যাওয়ার পর স্থানীয় ওয়েলডিং কারখানায় কাজ শেখেন। পরে নিজেই একটি কারখানা দাঁড় করান। তার এই উদ্যোগকে সফল করতে এগিয়ে আসে ওয়েভ ফাউন্ডেশন নামের একটি ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠান। পুরস্কার হিসেবে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পেয়েছেন এই উদ্যোক্তা।

অনুষ্ঠানে ওলি উল্লাহ বলেন, ক্ষুদ্র ঋণ পেয়ে তার ব্যবসা অনেকটা এগিয়ে গেছে। কিন্তু এখন তার দরকার বড় ঋণ। বড় ঋণ পেলে আরো বড় পরিসরে ব্যবসা করতে পারবো।
শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে রানার আপ বগুড়ার দেবখণ্ডের উদ্যোক্তা নুর ইসলাম শেখ পান ১ লাখ টাকা পুরস্কার।
শ্রেষ্ঠ নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হন ঠাকুরগাঁওয়ের পাশ্চিম কাদিরহাট থেকে আগত ফাতেমা খাতুন।
তিনি পরিত্যক্ত ঝুট দিয়ে পাপস ও জায়নামাজ তৈরি করেন। এই ক্যাটাগরিতে রানার আপ হয়েছেন গাজীপুর থেকে আসা মোমেনা আক্তার। শ্রেষ্ঠ কৃষি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছেন যশোরের চাঁচড়া থেকে আসা প্রহলাদ বর্মন। এই ক্যাটাগরিতে রানার আপ হয়েছেন চুয়াডাঙ্গার লক্ষীপুর থেকে আসা উদ্যোক্তা মো. উসমান গনি।
শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে সাজেদা ফাউন্ডেশন। শ্রেষ্ঠ সৃজনশীল ক্ষুদ্রঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয় সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট ইনোভেশন অ্যান্ড প্রাকটিসেস (সিদীপ)।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, দারিদ্র্য কমিয়ে আনতে আমরা নানা ভাবে চেষ্টা করছি। দারিদ্র দুরীকরণে সরকারের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
এটা আমাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। আমরা যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম তখন ৪৪ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করতো। এখন এই হার কমে ২২-২৩ শতাংশে নেমে এসেছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, সিটি এশিয়া প্যাসেফিক করপোরেট অ্যাফেয়ার বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও করপোরেট সিটিজেনশিপের প্রধান রেজিনা সো, সিটি ব্যাংক এনএ’র পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত সিটি কান্ট্রি অফিসার সাজেদুল ইসলাম, সিডিএফ’র নির্বাহী পরিচালক আবদুল আওয়াল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৫
এসই/এনএস/