ঢাকা: সরকারি তালিকাভুক্ত ১০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মধ্যে ধান বাদে বাকি ৯টিই আমদানি নির্ভর। চাহিদার তুলনায় এসব পণ্য উৎপাদনে বিরাট ঘাটতি রয়েছে।
সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, দেশের চালের চাহিদা রয়েছে ২৯০ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে উৎপাদিত হচ্ছে ৩৪৭ লাখ মেট্রিক টন। এই মুহুর্তে চাহিদার চেয়ে ৫৭ লাখ মেট্রিক টন বেশি ধান উৎপাদিত হচ্ছে।
একমাত্র চাল বাদে বাকি সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের উৎপাদন চাহিদার তুলনায় অনেক কম।
গমের চাহিদা রয়েছে ৩০ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র ১৩.০২ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ ঘাটতি ১৬ দশমিক ৯৮ লাখ মেট্রিক টন।
চাহিদার অর্ধেকও উৎপাদিত হচ্ছে না চিনি। বর্তমানে চিনির বার্ষিক চাহিদা রয়েছে ১৪ দশমিক ৪৯ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে উৎপাদিত হচ্ছে মাত্র ১ দশমিক ২০ লাখ মেট্রিক টন। চিনির চাহিদা মেটাতে বাইরের দেশ থেকে আমদানি করতে হচ্ছে ১৩ দশমিক ২৯ লাখ মেট্রিক টন।
একইভাবে ভোজ্য তেলের চাহিদা ১৪ দশমিক ৩৬ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদিত হচ্ছে ২ দশমিক ১৯ লাখ মেট্রিক টন। মশুর ডালের চাহিদা ৩ দশমিক ৯৫ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদিত হচ্ছে ১ দশমিক ৭৫ লাখ মেট্রিক টন।
এছাড়া পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদিত হচ্ছে ১৯ দশমিক ৩০ লাখ মেট্রিক টন। আদার চাহিদা ৫ দশমিক ২৭ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদিত হচ্ছে ২ দশমিক ২০ লাখ মেট্রিক টন। রসুনের চাহিদা ৫ দশমিক ২৭ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদিত হচ্ছে ৩ দশমিক ৯২ লাখ মেট্রিক টন। ছোলার চাহিদা ০ দশমিক ৮৪ লাখ মেট্রিক টন, উৎপাদিত হচ্ছে ০ দশমিক ১০ লাখ মেট্রিক টন। খেজুরের চাহিদা ০ দশমিক ২১ লাখ মেট্রিক, যার পুরোটাই আমদানি নির্ভর।
গত ২১ ডিসেম্বর সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে নিত্যপণ্যের চাহিদা ও উৎপাদনের পরিসংখ্যান দেয় বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি)। সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো পরিসংখ্যান বাংলানিউজের কাছেও রয়েছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি কর্নেল (অব.) মো. শওকত আলী বাংলানিউজকে বলেন, পরিসংখ্যানটি পুরোপুরি না হলেও আংশিক সত্য। আমাদের অনেকগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যই আমদানির মাধ্যমে চাহিদা মেটাতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
এসএম/এএসআর