ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চিনির বাজারে হরিলুট, খুচরা মূল্যে বেচাকেনা বন্ধ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩১ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬
চিনির বাজারে হরিলুট, খুচরা মূল্যে বেচাকেনা বন্ধ

ঢাকা: পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও তীর, ফ্রেশ, ইগলু ও দেশবন্ধুসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের কোম্পানিগুলো চিনির কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করছে। চিনি পাওয়া গেলেও দাম আকাশচুম্বী।

রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে শনিবার (২৫ জুন) প্রতি কেজি খোলা চিনি ৬৫ থেকে ৬৮ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে প্যাকেটজাত তীর ও ফ্রেশ চিনি বাজার থেকে উধাও হয়ে গেছে।

বাড়তি মুনাফায় চিনি বিক্রি করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করবে, তার চেয়ে চিনি বিক্রি বন্ধ রাখাই ভালো- এমনটি মনে করছে খুচরা বাজারের বিক্রেতারা।

কারওয়ান বাজারের হাজী স্টোরেও গত দু’দিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে চিনি বিক্রি।

দোকান মালিক মোহাম্মদ মোতালেব বাংলানিউজকে বলেন, রমজান আইলেই চিনির মাথায় ঠাটা পড়ে। দুই দিন ধইরা চিনি ব্যাচন বন্ধ রাখছি। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি চিনি ৬৩ টাকা দরে কিনতে হয়। এত দামে চিনি কিইনা কোই বিক্রি করুম! পাইকারি বাজার থেইকা চিনি কিনলে সব খরচসহ চিনির দাম প্রতি কেজিতে পরে ৬৫ টাকা।

একই অবস্থার কথা জানান লক্ষ্মীপুর ষ্টোরের মালিক কামরুল হাসান।

তিনি বলেন, বাড়তি দামে চিনি কোথায় বিক্রি করবো! তাই চিনি বেচাকেনা বন্ধ রেখেছি।

পাইকারি চিনি বিক্রির অন্যতম বাজার পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার। সেখানেও শনিবার প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চিনি ৩ হাজার ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়। অথচ এক দিন আগে ২ হাজার ৯৫০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে ৫০ কেজি চিনিতে বেড়েছে ২শ’ টাকা।

আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিদিনই বস্তা প্রতি চিনির দাম ১ থেকে ১৫০ টাকা বাড়ছে, অভিযোগ ব্যবসায়ীদের।

পাইকারি বাজের চড়া দামে চিনি কিনলেও খুচরা বিক্রেতাদের কোনো রশিদ দেওয়া হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে মৌলভীবাজারের চিনি বিক্রেতারা বাংলানিউজকে বলেন, বড় বড় কোম্পানির চিনির মিল গেট থেকে ট্রাক ফিরে আসছে। চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। যা পাওয়া যাচ্ছে, খরচা অনেক বেশি। তাই শুধু মাত্র পরিচিত ক্রেতাদের কাছে চিনি বিক্রি করা হচ্ছে- সম্পর্ক রাখার জন্য। কোনো ক্রেতা চাইলে চিনিই দিতে পারবো না, রশিদ তো দূরের কথা!

অথচ গত বছর ৬ এপ্রিল প্রতি মণ (৩৭ কেজি ৩২০ গ্রাম) চিনির দাম ছিল ১ হাজার ২৪০ টাকা। এ হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৩৩ টাকা ২৩ পয়সা। বছরের ব্যবধানে শুধু পাইকারি বাজারেই বেড়েছে ৩০ টাকা।

খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মূলত সিটি, ফ্রেশ, ইগলু ও দেশ বন্ধু চিনির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। রমজানে আরও বেশি দামে চিনি বিক্রির জন্য এসব কোম্পানিগুলো ক্রেতাদের জিম্মি করে রেখেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১৬
এমআইএস/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।