ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

লবণে নষ্ট হবে চামড়ার ‘গুণগত মান’

রহমত উল্যাহ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬
লবণে নষ্ট হবে চামড়ার ‘গুণগত মান’ ছবি: দিপু মালাকার- বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পরিমিত লবণ ছেটালে চামড়ার গুণগত মান বাড়ে। কিন্তু এবার লবণের দাম বেশি হওয়ায় সময়মতো ও পরিমাণমতো লবণ দেওয়া যাচ্ছে না।

ফলে চামড়ার গুণগত মান নষ্ট হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন ট্যানারি সংশ্লিষ্টরা।

ট্যানারি মালিকরা বলছেন, লবণের দাম না কমলে আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তারা।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হাজারীবাগের কয়েকটি ট্যানারি ঘুরে জানা গেছে, চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে এবার কিছুটা কম।
 
প্রগতি লেদার কমপ্লেক্সের সামনেই কাঁচা চামড়ার স্তুপ। প্রতি বছর স্তুপ বড় থাকলেও এবার ছোট। শ্রমিক রশিদ জানান, এখনো সব চামড়া এসে পৌঁছেনি। লবণের দাম বেশি।
 
ভেতরেও প্রক্রিয়াজাত করা চামড়ার স্তুপ। এসব চামড়ার মধ্যে অনেকগুলোই গত বছরের ঈদ-উল আযহার। এবার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মাত্র।
 
প্রগতি লেদার কমপ্লেক্সের লেদার টেকনোলজিস্ট মো. নাজমুল হক জানান, লবণের দাম বেশি, অনেক চামড়া নষ্ট হচ্ছে। এখনই হিসেব করে বলা যাবে না, কতো চামড়া নষ্ট হবে। অন্তত আরও একমাস চামড়া আসবে। কি পরিমাণ নষ্ট হয়েছে কয়েকদিন পর জানা যাবে। চামড়ার গুণগত মান অন্য বছরের চেয়ে ভালো। তবে লবণের দামের কারণে এ মান ঠিক থাকবে কি-না সন্দেহ আছে।
 
তিনি বলেন, ‘বায়ারদের সঙ্গে দর কষাকষি চলছে। অর্ডার না দিলেও তারা বলছেন, চামড়ার দাম কমে গেছে, তোমরা এতো বেশি রাখো কেন? লবণের দাম না কমলে বাজার হারাবো আমরা’।
 
সামিনা ট্যানারি লিমিটেডের একজন কর্মকর্তা জানান, এবার টার্গেটের চেয়ে অনেক কম চামড়া কিনতে হচ্ছে। একদিকে বিশ্ব বাজারে চামড়ার দাম কমে গেছে, অন্যদিকে লবণের দাম বেশি।
 
তিনি বলেন, গত বছরের চামড়া রয়ে গেছে। এবার চামড়ার দাম গত বছরের চেয়ে কিছুটা কম। প্রতি বস্তা লবণ ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকায় কিনতে হচ্ছে। ফলে খরচ অনেক বেড়ে যাবে।
 
বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘গত বছর যে লবণ ৫শ’ থেকে সাড়ে ৫শ’ টাকায় কিনেছি, এবার তা ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকায় কিনতে হচ্ছে। সে কারণে কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তবে আরো ২ থেকে ৩ দিন পর পুরোদমে কেনাকাটা করবো। তখন বুঝতে পারবো, কতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। সরকার তাৎক্ষণিক আমদানির অনুমতি না দিলে এবার মালিকরা আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতেন’।
 
এবার গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়ার ১ কোটি চামড়া কেনার লক্ষ্যমাত্রা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজার হারানোর শঙ্কা নেই বলা যাবে না। চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের খরচ বেড়ে গেলে ক্ষতির সম্মুখীন হবো। আর লবণের কারণে নষ্ট হবে চামড়ার গুণগত মান’।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৬
আরইউ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।