ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবজির বাজার চড়া, মাছে স্বস্তি

মানসুরা চামেলী, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬
সবজির বাজার চড়া, মাছে স্বস্তি ছবি: রানা-বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীর বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। দেশের বিভিন্ন স্থানে টানা বৃষ্টি ও‍ সরবরাহ কম থাকায় সবজির দাম বেড়েছে বলে জানায় বিক্রেতারা।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে সরববাহ কম থাকায়, গত সপ্তাহের তুলনায় আবারও কাঁচাপণ্যের দাম বেড়েছে। শীতের সবজি নামার আগে এ দাম বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে বিক্রেতারা জানান।

তবে গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ কেজিতে ২২০-৩০০ টাকা দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে দাম কমে ১২০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

কারওয়ান বাজারে পাইকারি দরে সবজি কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে। কেজিতে ৫ থেকে ১০টাকা করে বেড়েছে প্রতিটি সবজির দাম বলে ক্রেতা ও বিক্রেতারা জানান।

বাজার ঘুরে দেখা গেল, পাইকারি দামে ঢেঁড়স, রেখা, মুলা, ঝিঙা, জালি, বরবটি, ধুন্দল ও পটল কেজিপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে ছিলো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে।
৪০টাকার বেগুনের বেড়ে  দাঁড়িয়েছে ৫০টাকা।  

এছাড়া কচুরমুখী ৪০ টাকা, করলা ৪০, পেপে ৪০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, গাজর ৪৫টাকা, কাচাকলা ৩০ টাকা হালি, লেবু ৪০ টাকা হালি, মিষ্টি কুমড়া (ছোট) ৫০ টাকা পিচ, লাউ ৩০ টাকা। এই সবজিগুলোতে কেজিতে ৫ টাকা করেছে বেড়েছে বলে বাজার সূত্রে জানা যায়। প্রতিকেজি আলু ২০ টাকা অপরিবর্তীত দামে বিক্রি হচ্ছে।
 
সবজি বিক্রেতা মানিক বাংলানিউজকে জানান, বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কম থাকায় বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। এখন প্রতি সপ্তাহে কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা সবজির দাম বাড়তেছে। শীতের সবজি নামার আগে সবজির দাম আর পড়বে না বলে জানান তিনি।

ক্যান্টনমেন্ট থেকে বাজার করতে আসা রাশেদুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে তো কোনো পণ্যে হাত দেওয়া যাচ্ছে না। দাম কমের আশায়, ক্যান্টনমেন্ট থেকে আসলাম, এখনেও তো কম না।  
মাংস অপরিবর্তিত রয়েছে। ব্রয়েলার মুরগী প্রতিকেজি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার ১৭০ টাকা প্রতিকেজি। আকারভেদে দেশি মুরগি কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৪০ টাকা। পাকিস্তানি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা।

গরুর (বাজারভেদে) ৪০০ থেকে ৪২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। খাসির মাংস ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া বাজারে পেয়াজ, রসুন, আদা ও ডালের দাম অপরিবর্তিত আছে। পেয়াজ (দেশি) ৩০-৩৫ টাকা প্রতিকেজি। পেয়াজ (আমদানি) ২৫ টাকা।

প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা। মসুর ডাল (দেশি) মানভেদে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা, (আমদানি) মানভেদে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা। মুগ ডাল (মানভেদে) ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  
এদিকে চালের দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা।
 
তারা জানান, পাইজাম, নাজিসাইল, মিনিকেট ও আটাসসহ বিভিন্ন চাল কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে।

ইলিশ মাছের সরবরাহ বেশি হওয়ায় বাজারে অন্যান্য মাছের দাম কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা।  

কারওয়ান বাজারের মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিটি মাছে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে দাম কমেছে। রুই মাছ (ছোট) ২০০ টাকা, রুই (বড়) ২৫০ টাকা কেজি। কাতলা ২০০-২৫০টাকা। চিংড়ি (ছোট) ৪০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৪০টাকা ও কই মাছ ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬
এমসি/এসএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।