ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আপটা কাউন্সিলে যোগ দিতে থাইল্যান্ডে বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
আপটা কাউন্সিলে যোগ দিতে থাইল্যান্ডে বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আপটা)’র ৪র্থ মিনিস্টেরিয়াল কাউন্সিলের সভায় যোগ দিতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক গেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।বৃহস্পতিবার ( জানুয়ারি ১২) বিকেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।  

শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) মিনিস্টেরিয়াল কাউন্সিলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। আপটার বর্তমান সদস্য বাংলাদেশ, ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলংকা এবং লাওস।

এ ৬টি দেশের বাণিজ্যমন্ত্রীরা এ কাউন্সিলে  যোগ দেবেন। বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করবেন।

উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সর্বপ্রথম বাণিজ্য চুক্তি ব্যাংকক এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়। পরবর্তীতে ২০০৫ সালে ১ম সংশোধনীর মাধ্যমে ব্যাংকক এগ্রিমেন্ট পুনর্গঠন করে এশিয়া-প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট (আপটা)  স্বাক্ষর হয়।

এই চুক্তির মূল উদ্দেশ্য হলো পারস্পরিক বাণিজ্য উদারীকরণের মাধ্যমে সদস্য দেশসমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। এর সদর দপ্তর থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে। বাংলাদেশ এই আঞ্চলিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।

সদস্য দেশসমূহের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ পর্যন্ত ৩ রাউন্ড নেগোসিয়েশন সম্পন্ন হয়েছে। সবশেষ ৩য় রাউন্ড নেগোসিয়েশন ২০০৬ সালে সম্পন্ন হয়, যার আওতায় বর্তমানে বাংলাদেশ অন্যান্য সদস্য দেশের নিকট থেকে ৪ হাজার ৬৪৮টি পণ্যে ৫ থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক সুবিধা পাচ্ছে এবং ২০৯টি পণ্যে অন্য সদস্য দেশকে ১০ থেকে ৬০ শতাংশ শুল্ক সুবিধা প্রদান করছে।

অনুষ্ঠেয় মিনিস্টেরিয়াল কাউন্সিল-এ আনুষ্ঠানিকভাবে ৪র্থ রাউন্ড নেগোসিয়েশন গৃহীত হবে। ৪র্থ রাউন্ড বাস্তবায়িত হলে শুল্ক সুবিধা প্রাপ্ত এই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১১ হাজার ৫০২ তে উন্নীত হবে, যার বিপরীতে বাংলাদেশ মোট ৬০২টি পণ্যে (৫৯৮ সকল সদস্যদের এবং অতিরিক্ত ৪টি পণ্য স্বল্পোন্নত সদস্য দেশের জন্য) ১০ থেকে ৭০ শতাংশ শুল্ক সুবিধা প্রদান করবে। এ ছাড়াও, আপটা চুক্তির Rule of Origin-এর বাস্তবায়ন অধিকতর সহজ, গতিশীল ও কার্যকর করার লক্ষে এর ফুটনোট সংশোধন করা হবে। বিষয়টি গত ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখের মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে।
 
আপটা মিনিস্টেরিয়াল কাউন্সিল-এর মাধ্যমে শুল্ক সুবিধাসহ ৪র্থ রাউন্ড নেগোসিয়েশনের সিদ্ধান্ত সমূহ বাস্তবায়নের জন্য সম্ভাব্য তারিখ ০১ জুলাই ২০১৭ নির্ধারণ করা হয়েছে। ৪র্থ রাউন্ড নেগোসিয়েশন বাস্তবায়িত হলে আপটার সদস্য দেশসমূহে বাংলাদেশের পণ্য অধিকতর শুল্ক সুবিধা এবং মার্কেট এক্সেস পাবে যার ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হবে বলে আশা করা যায়।
 
কাউন্সিলে যোগ দেয়া শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আগামী ১৫ জানুয়ারি দেশে ফিরবেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০১৭
‍ওএফ/আরআই 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।