এফবিসিসিআই’র সংবাদ সম্মেলন
ঢাকা: সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্যঘোষিত মুদ্রানীতি বেসরকারি খাতের জন্য বিনিয়োগবান্ধব হলেও তাতে অনেক ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর এফবিসিসিআই ভবনে ‘সম্প্রতি ঘোষিত অর্ধবার্ষিক মুদ্রানীতি, দেশের বর্তমান বেসরকারি বিনিয়োগ পরিস্থিতি, ভারতে বাংলাদেশের পাটপণ্য রফতানিতে অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্কারোপ এবং বর্তমান বাজেটে আরোপিত কাস্টমস ও ভ্যাট সম্পর্কিত’ বিষয়ের ওপর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে মুদ্রানীতির পূর্ণাঙ্গ দিক-নির্দেশনা নেই।
তবে অর্থনীতির বর্তমান বাস্তবতায় সাহসী মুদ্রানীতি প্রয়োজন। দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধি, দ্রুত প্রবৃদ্ধির ধারাকে আরও গতিশীল করা, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণে সতর্কতা এবং মূল্যস্ফীতি হ্রাসের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে জানুয়ারি-জুন ২০১৭ মেয়াদের নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঘোষিত মুদ্রাস্ফীতিতে পূর্বের ধারাবাহিকতায় মাত্রাতিরিক্ত স্ফীতি এড়িয়ে চলার নীতি কৌশল নেওয়া হয়েছে এবং বেসরকারি খাতের ঋণের যোগান ১৬.৫ শতাংশ হারে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
আবদুল মাতলুব আহমাদ আরও বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে উচ্চ প্রবৃদ্ধির দেশে উন্নীত করলে ডাবল ডিজিট প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য ৪০ শতাংশের ওপর জিডিপি'র বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। সরকারি এবং বেসরকারি উভয় খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ ১৬.৫ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে অন্তত ১৭ শতাংশ করা হলে আরও বিনিয়োগ সহায়ক হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০১৭
ওএফ/এমজেএফ
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।