ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে ৫ আইন সংশোধন প্রস্তাব বিডার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭
বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়নে ৫ আইন সংশোধন প্রস্তাব বিডার

ঢাকা: দেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়নে পাঁচ আইনের পরিবর্তন দাবি করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিআইডিএ-বিডা)।

বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে বৈঠকে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দেয় কর্তৃপক্ষের একটি প্রতিনিধি দল। এতে কাস্টমস আইন, কোম্পানি আইন, চুক্তি আইন, আরবিট্রেশন অ্যাক্ট ও ইনসভেন্সি অ্যাক্ট সংশোধনের প্রস্তাবনা রয়েছে।

বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেন, কিছু আইন বিনিয়োগের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯ সালে হয়েছিল, এখন নতুন করে কাস্টমস অ্যাক্ট হবে। সেই অ্যাক্টে কী কী থাকলে বিনিয়োগবান্ধব হবে সেটাই নির্বাহী চেয়ারম্যান আমাকে জানিয়েছেন।
 
মন্ত্রী বলেন, কোম্পানিজ অ্যাক্টের কিছু কিছু ধারা পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংশোধনের কথা তারা বলেছেন।   সেগুলো আমরা দেখব। ’
 
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘কন্ট্রাক্ট অ্যাক্টটা অত্যন্ত সুন্দর, কিন্তু যুগোপযোগী করার জন্য এটাকে একটু ধোয়া-মাজা করতে হবে। ’
 
আরবিট্রেশন অ্যাক্টের ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দেওয়ার দাবির পাশাপাশি ব্যয় কমাতে আইনে আরবিট্রেটরদের ফি বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় বিডা।
 
মন্ত্রী বলেন, তারা ইনসভেন্সি অ্যাক্টের কথা বলেছেন। অর্থ ঋণ আদালতে যে মামলা রয়েছে সেগুলো আমরা আলোচনা করেছি। ভূমি নিবন্ধনের ব্যাপারে খুব তাড়াতাড়ি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
 
তিনি বলেন, আইনের পরিবর্তন কিছু এখনই হবে, কিছু পর্যায়ক্রমে হবে। ’

তবে বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নে নতুন কোন আইনের দরকার হবে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চার-পাঁচটি আইনের সংশোধন ও পরিবর্ধন করতে হবে। আগামী বাজেট অধিবেশনের আগের অধিবেশনে আইনগুলো আসতে পারে।
 
বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের ও ২০৪১ সালের মধ্যে একটি হাই ইনকাম কান্ট্রিতে রূপান্তর করতে হবে। এজন্য দেশীয় ও বিদেশি প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন। বিনিয়োগ আসার জন্য বাংলাদেশে যে ইনভেস্টমেন্ট ক্লাইমেট দরকার, এর বেশ কিছু বিষয় আছে আইন সংক্রান্ত। এ বিষয়গুলো মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।
 
তিনি বলেন, ইতিবাচক এ বিষয়গুলো নিয়ে আমরা সামনের দিকে যাব, একটা কর্মপরিকল্পনা নিয়েছি। সে অনুসারে আমরা এ রিফর্মগুলো বাস্তবায়ন করব। যাতে বাংলাদেশে বিজনেস ক্লাইমেট বিশ্বমানের হয়।
 
‘কতো সময়ের মধ্যে ইলেকট্রিসিটি পাওয়া যায়, কত সময়ের মধ্যে ভবন নির্মাণের অনুমতি পান, কত তাড়াতাড়ি ভূমি নিবন্ধন করতে পারেন, ঋণ কত তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, ক্রেডিট সংক্রান্ত তথ্য পর্যাপ্ত কিনা, বিরোধ নিষ্পত্তি কেমন হয়, চুক্তি কত সফলভাবে এনফোর্স করতে পারে- এসবই বিজনেস ক্লাইমেটের অংশ-বলেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২২ ঘণ্টা, ঢেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭
এমআইএইচ/জেপি/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।