এতে ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও রেমিট্যান্স আহরণকারী ২০টি ব্যাংকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ছোট অঙ্কের টাকা পাঠাতে কেউ আর ব্যাংকিং চ্যানেলে যাচ্ছেন না।
এছাড়া মুদ্রাবিনিময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে অনেক সময় দর কম থাকে। এতে প্রবাসী কম আগ্রহ দেখায়। এ পরিস্থিতিতে স্বল্প অঙ্কের রেমিটারদের বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া যায় কি না ভাবা হচ্ছে।
বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, রেমিট্যান্স প্রবাহ কিভাবে বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে পরামর্শ করতে বৈঠক করা হয়েছে। ব্যাংকাররা বলেছেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে প্রবাসীরা টাকা দেশে পাঠাচ্ছেন। তাই মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন বন্ধ করার দাবি করেন।
কিন্তু এ দাবিতে সম্মতি দেয়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিকল্প হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে অর্থ উত্তোলনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আগে যেটা ২৫ হাজার টাকা ছিল, সেটা এখন ১০ হাজার টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অর্থনীতিতে রেমিট্যান্সের বড় অবদান রয়েছে। এর ইতিবাচক ধারা যেন অব্যাহত হয়, সেজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক সক্রিয় রয়েছে। এ লক্ষ্যে বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংকগুলোকে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সুর চৌধুরী বলেন, কোনো ব্যাংক ছোট অঙ্কের রেমিট্যান্সে বিনিময় মূল্য নির্ধারণে বিশেষ প্রণোদনা দিতে চায়, তাদের অতিরিক্ত সে ব্যয় সমন্বয়ে যা খরচ হবে- তা ব্যাংকের করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) খাতে দেখানোর সুযোগ দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বৈঠকে সবগুলো ব্যাংক মিলে অভিন্ন নেটওয়ার্ক স্থাপনে বিকাশকে ব্যবহারের প্রস্তাব উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে।
রেমিট্যান্স প্রবাহের ধারাবাহিক পতনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন। সম্প্রতি কয়েক দফায় ব্যাংকগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেও কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না। এমনকি মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দানকারী শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বিকাশের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। হুণ্ডিওয়ালারা যাকে কোনোভাবেই বিকাশ নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে বৈদেশিক মুদ্রা দেশে না পাঠায় সে ব্যাপারে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের পাঁচ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি’১৭) ৬২২ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের অর্থবছরে একই সময়ে ছিল ৭৩৩ কোটি ডলার। সে হিসেবে অর্থবছরের সাত মাসে প্রবাসী আয় কমেছে ১১১ কোটি ডলার বা ১৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। এর আগে গত অর্থবছরে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছিল আড়াই শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
এসই/আরবি/