বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) তথ্য অনুসারে, কোম্পানিটি ২০০৯ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ব্যবস্থাপনায় ব্যয় করেছে ৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। যা আইডিআরএ’র নিয়ম অনুসারে প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ ব্যবস্থাপনা ব্যয় সীমা ৫৪ কোটি ১৪ লাখ টাকার চেয়ে ১৫ কোটি ৪ লাখ টাকা বেশি।
এ ব্যয়ের মাধ্যমে কোম্পানিটি ২০০৯ সালে ৫৪ লাখ টাকা, ২০১০ সালে ৪৯ লাখ টাকা, ২০১১ সালে ৮৩ লাখ টাকা, ২০১২ সালে ১ কোটি ৭৭ লাখ টাকা, ২০১৩ সালে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা, ২০১৪ সালে ৩ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং ২০১৫ সালে ৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বেশি ব্যয় দেখিয়েছে।
বাড়তি এ অবৈধ ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের পাশাপাশি কোম্পানিটির সর্বশেষ তিন বছরের আয়, ব্যয় ও সম্পদের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে বিশেষ অডিট ফার্ম (বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান) এস এফ আহমেদ অ্যান্ড কোম্পানিকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে আইডিআরএ।
সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, বিশেষ নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সেন্ট্রালের ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালের বিনিয়োগ, ঋণ, অগ্রিম, স্থায়ী সম্পদ ও অন্যান্য সম্পদ, গাড়ি, জমি ও বিল্ডিং, নগদ টাকা, ট্যাক্স ও ভ্যাট, চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা কতো টাকা করে সম্মানি ও অন্যান্য সুবিধা নিয়েছেন তার পর্যালোচনাসহ কোম্পানির এ তিন বছরের আয়, ব্যয় ও সম্পদের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে।
আইডিআরএ’র সদস্য জুবের আহমেদ খান বাংলানিউজকে বলেন, বিমা কোম্পানিটিতে নিরীক্ষক নিয়োগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
সম্প্রতি বেশ কিছু কোম্পানিতে নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়ে বিষয়টি চিঠি দিয়ে কোম্পানিগুলোকে জানিয়ে দিয়েছে আইডিআরএ। বিমা আইন ২০১০’র ২৯ ধারার ক্ষমতা বলে এ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ২ মাসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন আইডিআরএ’র কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিমা আইনের ২৯ ধারায় বলা হয়েছে- ‘আইনের অন্য কোনো বিধানে যা কিছুই থাকুক না কেন, কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ বিমা ব্যবসা পরিচালনাকারী যেকোনো বা সব বিমা কোম্পানির বিমা সংক্রান্ত সব লেনদেন, রেকর্ডপত্র, দলিল দস্তাবেজ, প্রবিধান দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে এক বা একাধিক নিরীক্ষক দিয়ে নিরীক্ষা করাতে পারবে’।
এ ধারায় আরও বলা হয়েছে, ‘এ ধারার অধীনে নিযুক্ত নিরীক্ষক বিমাকারীর বিমা ব্যবসা সংক্রান্ত যাবতীয় রেকর্ডপত্র, হিসাব বই, রেজিস্টার, ভাউচার, পত্র এবং অন্য সব দলিল পরিদর্শন করতে পারবে এবং এ উদ্দেশে বিমাকারী যেকোনো পরিচালক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বক্তব্য শুনতে এবং বিমাকারীর কাছ থেকে প্রাসঙ্গিক কাগজপত্র ও তথ্য তলব করতে পারবে’।
এ ধারা অনুসারে, নিরীক্ষা কাজের জন্য নিয়োগ পাওয়া নিরীক্ষক সর্বোচ্চ ৪ মাসের মধ্যে একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে। প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনের ৪টি কপি আইডিআরএ’র কাছে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৭
এমএফআই/এএসআর