সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুত ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের সভাপতি জসিম উদ্দিন।
তাছাড়া ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের প্লাস্টিক শিল্প কোন পর্যায়ে থাকবে সে জন্য সুনির্দিষ্ট তিনটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে প্লাস্টিক ব্যবসায়ী সংগঠনটি।
প্যাকেজিং আইন সম্পর্কে জসিম উদ্দিন বলেন, পাটের ব্যাগ ব্যবহারের যে নির্দেশনা সরকার দিয়েছে। আমরা পাটের ব্যাগ ব্যবহারের বিরুদ্ধে না, কিন্তু বাস্তবতা বিবেচনায় প্যাকেজিংয়ে এখন প্লাস্টিকের কোনো বিকল্প নেই। কোনো ধরনের পণ্যে কী ধরনের প্যাকেজিং করা হবে সেটি নির্ধারণে আইন করার কোনো বিকল্প নেই। শুধু প্যাকেজিং এর কারণে পণ্যের দাম বাড়ে। প্লাস্টিক প্যাকেজিং চালু হলে অনেক তরল পণ্যের দাম কয়েকভাগ কমে যাবে।
প্লাস্টিক শিল্পনগরী স্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, প্লাস্টিক শিল্পনগরী প্রকল্পটি গত বছর একনেকে পাস হয়েছে এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী ব্রিজের পশ্চিমপাশে বড়বত্তা এলাকায় ৫০ একর জমির ওপর প্লাস্টিক শিল্পনগরী গড়ে তোলার জন্য ইতোমধ্যে জায়গা নির্ধারণ করেছে বিসিক। শিল্প মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বিসিক প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
এদিকে, গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ খাতের রফতানি প্রবৃদ্ধি কমছে ১১.৫০ শতাংশ। আর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এ খাতের রফতানি অর্থের পরিমাণ ছিল ১০০.৫৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের, যা ২০১৫-১৬ বছরে দাঁড়িয়েছে ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। রফতানি আয় কমার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা না থাকার কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিপিজিএমইএ। তবে, চলতি অর্থবছরে রফতানি আয়ের পরিমাণ বাড়বে বলে আশা করছে ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের সাবেক সভাপতি ইউসুফ আশরাফ, ফেরদৌস ওয়াহেদ, সামিম আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, সাবেক সহ-সভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৭
ওএফ/পিসি