মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও সম্পূরক করফাঁকির দায়ে করা অর্থদণ্ড এবং জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় দেশের সকল তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে রাজস্ব খাতের প্রতিষ্ঠানটি।
ব্যাংকগুলোতে গত ০৪ এপ্রিল পাঠানো এনবিআরের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার বিরুলিয়ার আকরান এলাকায় অবস্থিত অটবি’র ৫ নম্বর ইউনিটের কাছে মূসক, সম্পূরক কর, অর্থদণ্ড এবং জরিমানার সর্বমোট ৬০ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯ টাকা পাওনা রয়েছে।
‘এ নির্দেশের ১৫ দিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট হিসাব থেকে সমপরিমাণ অর্থ কর্তন করে যথাযথ খাতে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে’।
তবে অটবি লিমিটেডের প্রধান কর কর্মকর্তা মাহবুব আলম বাংলানিউজকে বলেন, ‘এনবিআরের চিঠিতে বিষয়টি ভুলভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছে কোনো আসবাবপত্র বিক্রি করলে ভ্যাট দিতে হবে না- এনবিআরের এ ধরনের প্রজ্ঞাপন রয়েছে। আমরা এনবিআরকে এডিবি’র কাছে বিক্রি করা আসবাবের ভ্যাট বাবদ নির্ধারিত ১৫ লাখ টাকা মোট পাওনা থেকে বাদ দিতে বলেছি। এ জটিলতার অবসান হলে বাকি টাকা পরিশোধ করা হবে’।
মাহবুব আলম আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি সন্তোষজনক কোনো পরামর্শ না দেওয়ায় বাধ্য হয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
১৯৭৫ সালে প্রয়াত ভাস্কর্যশিল্পী নিতুন কুণ্ডু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অটবি। প্রতিষ্ঠানটি অফিস, বাসা-বাড়ি ও শপিং মলের আসবাবপত্র উৎপাদন ও বিক্রি করে থাকে। তবে অতিরিক্ত দাম ও ভুয়া ডিসকাউন্ট এবং নিম্নমানের কাচামাল ব্যবহার করায় দিন দিন ক্রেতা হারাচ্ছে অটবি। ফলে বিজ্ঞাপন নির্ভর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়ে পরিশোধ করতে পারছে না মূসকও।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৭
এসই/এএসআর