সূত্র জানায়, ৩০ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত হালখাতায় ৫৬৬ কোটি টাকা বকেয়া আদায় করেছে এনবিআর। এর মধ্যে ট্যাক্স থেকে ৩০৬ কোটি টাকা, ভ্যাট থেকে ৫৩ কোটি টাকা আর শুল্ক থেকে এসেছে ২০৭ কোটি টাকা।
এর মধ্যে চট্টগ্রাম অঞ্চলে সর্বোচ্চ ১২৭ কোটি টাকার বকেয়া রাজস্ব আদায় হয়। এছাড়া বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ১১ কোটি টাকা, সিলেট কর অঞ্চল ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৭ হাজার টাকা ও পানগাঁও কাস্টমস্ হাউস ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৯৯৮.২২ টাকা কর আদায় করেছে।
হালখাতায় সম্মানিত ব্যক্তিদের মাটির সানকিতে মিষ্টি, বাতাসা, নারিকেলের নাড়ু, সন্দেশ, খৈ, কদমা, মুরালি, নিমকি, মুড়ির মোয়া, চিড়ার মোয়া, তিলের খাজা, সুন্দরী পাকন পিঠা, শাহী পাকন পিঠা, নকশি পিঠা, ঝিনুক পিঠা, রসগোল্লা, দই, ডাবের পানি, তরমুজ, পেয়ারা, বরই ইত্যাদি দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়। গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য মাটির হাঁড়ি, পাতিল, কলা গাছ, কুলো, হাতপাখা, মুখোশ, গেট আর রঙ-বেরঙের দেয়াল সজ্জায় সাজানো হয় দেশের সব কর কার্যালয়।
এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, প্রতি বছরই বকেয়া আদায়ে গ্রামীণ ঐতিহ্যে হালখাতা করা হবে। আমরা চাই, মানুষ কোনো ধরনের হয়রানি বা সংশয় ছাড়াই বকেয়া পরিশোধ করবেন। আগে এনবিআরের কথা শুনলে মানুষ ভয় পেতেন। কিন্তু এখন হয়রানি ছাড়াই সকল সেবা পাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা রাজস্ববান্ধব পরিবেশ চাই। সে পরিবেশ তৈরিতে সব সময় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। প্রথমবারের হালখাতায় ৫৬৬ কোটি টাকা বকেয়া পরিশোধ করেছে কোম্পানিগুলো। এটি নিঃসন্দেহে নতুন আশার সঞ্চার করে’।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০১৭
এসজে/এএসআর