উচ্চ সুদ হার নিয়ে গ্রাহকদের বিস্তর অভিযোগের পর অবশেষে ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার নির্ধারণ করে ‘গাইডলাইনস অন ক্রেডিট কার্ড অপারেশন্স অব ব্যাংকস’ শীর্ষক একটি নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে জারি করা নীতিমালাটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এখন থেকে ব্যাংকগুলো যে সুদহারে ভোক্তা (কনজ্যুমার) ঋণ দেবে, ক্রেডিট কার্ডে সুদের হার তার চেয়ে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ বেশি হবে। কোনো ব্যাংক চাইলে এর কম সুদও নিতে পারবে।
এতোদিন ক্রেডিট কার্ড পরিচালনার নীতিমালা না থাকায় ব্যাংকগুলো নিজেদের মতো উচ্চ সুদ নিচ্ছিলো বলে ভোক্তাদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়েছে। এ নীতিমালার ফলে এখন সব ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সুদ একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, দেশে দেশি-বিদেশি ৩০টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে বার্ষিক ১৪ থেকে ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত সুদ আদায় করছে। অধিকাংশ ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সুদ ৩০ শতাংশের ওপরে।
সুদ আদায়ের শীর্ষে রয়েছে বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। ব্যাংকটির সুদ হার ৩৩ থেকে ৩৬ শতাংশ। এরপরে দেশের দ্য সিটি ব্যাংকের সুদ হার ৩৪.৫০ শতাংশ।
এছাড়াও ক্রেডিট কার্ড থেকে ঋণ কিস্তি আকারে পরিশোধ করার ক্ষেত্রে এখন পুরো ঋণের উপর সুদ ধরা হয়। নীতিমালায় বলা হয়েছে, যেটুকু আসল বাকি থাকে তার উপর সুদ ধার্য করা হবে। প্রতি মাসে ক্রেডিট কার্ড গ্রাহককে তার অবস্থা সম্পর্কে জানাতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বলেন, ‘সুদের হার নির্ধারণে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ নীতিমালা জারি করেছে। ক্রেডিট কার্ডের সুদ আদায়ে ব্যাংকগুলোকে এ নীতিমালার মধ্যে থাকতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৭
এসই/জেডএস