ব্যাংক ব্ল্যাঙ্ক চেকে নিজের ইচ্ছেমতো টাকার অংক ও তারিখ বসিয়ে জমা দিয়েছে বলে আদালতের কাছে অভিযোগ করেন গ্রাহক। কোনো চুক্তিপত্র না থাকায় ব্যাংকও এ অভিযোগের যুক্তি খণ্ডাতে পারে না।
মঙ্গলবার (১৬ মে) ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কনজ্যুমার ফাইন্যান্সিং গাইডলাইন্স এবং স্মল এন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং গাইডলাইন্স অনুসারে ঋণের টাকা ফেরতের গ্যারান্টি হিসেবে ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে চেক জমা রাখে ব্যাংকগুলো। সম্প্রতি ব্যাংকিং খাতে ঋণের বিপরীতে অগ্রিম তারিখ দেওয়া বা তারিখবিহীন চেককে জামানত হিসেবে গ্রহণের ফলে আইনি জটিলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এখন ক্ষুদ্র এন্টারপ্রাইজ ফাইন্যান্সিং গাইডলাইন্সের সংশ্লিষ্ট ৬ নম্বর ধারা অনুসারে, প্রত্যেকে কিস্তির জন্য পোস্ট তারিখসহ একটি করে চেক এবং সুদসহ ঋণের সমপরিমাণ অর্থের জন্য তারিখবিহীন আরেকটি চেক গ্রহণের বিধান বাতিল করা হলো।
এখন ঋণ ফেরতের নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে প্রতিটি কিস্তির সমপরিমাণ অর্থ অ্যাকাউন্ট কেটে নেওয়ার অনুমতিপত্র গ্রাহকের কাছ থেকে নেওয়া হবে। পোস্ট তারিখযুক্ত চেক জমা নেওয়ার সময় গ্রাহকের সঙ্গে লিখিত চুক্তিপত্র করে নিতে হবে। ঋণ পরিশোধ সূচি অনুসারে প্রতিটি কিস্তির জন্য নির্ধারিত তারিখ ও কিস্তির সমপরিমাণ অর্থ অনুযায়ী বৈধ স্বাক্ষর, তারিখসহ পূর্ণাঙ্গ চেক নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৭
এসই/আরআর/জেডএস