ঢাকা, শনিবার, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

রোজার দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল ও চিনি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:০৩, জুলাই ৭, ২০১৭
রোজার দামেই বিক্রি হচ্ছে চাল, ডাল ও চিনি দাম কমেনি চাল, ডাল ও চিনির-ছবি-শোয়েব মিথুন

ঢাকা: রমজান মাস শুরুর আগে থেকেই নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে। এরপর মাসজুড়ে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে কয়েক দফা বাড়ানো হয় চাল ও চিনির দাম। তবে রোজা ও ঈদ শেষ হলেও এখনও কমেনি দাম। বিভিন্ন ধরনের ডালের দামও রয়েছে অপরিবর্তীত। এসব পণ্যের ঊর্ধ্বমূল্যের জন্য পকেট ফাঁকা হচ্ছে ক্রেতাদের। তবে ব্যবসায়ীদের আশ্বাস সপ্তাহখানেকের মধ্যেই দাম কমতে পারে।

শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর কারওরান বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি কেজি ১ নম্বর মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৬ টাকায়, তিন ধরনের নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৬০,৬৫ ও ৬৮ টাকায়।

এছাড়া দুই প্রকার মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৪৮ টাকায়। সব ধরনের চালের দামই রোজার সময় কেজি প্রতি ৮-১০ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে। রোজা ও ঈদ শেষে দাম কমার কথা থাকলেও এখনও দাম কমাননি ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে প্রতি কেজি খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায় এবং প্যাকেট চিনি বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮০ টাকায়।  

দাম কমেনি চাল, ডাল ও চিনির-ছবি-শোয়েব মিথুনএদিকে প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল ১১০ টাকা এবং ভারতীয় মসুর ডাল ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া প্রতি কেজি দেশি মুগডাল ১১০ টাকা ভারতীয় মুগডাল ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোলা প্রতি কেজি ৮৫ টাকা এবং বুটের ডাল ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

চাল ও চিনির ঊর্ধ্বমূল্য সম্পর্কে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আনিস বাংলানিউজকে বলেন, চাল ও চিনি এখনও একটু বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতাদের জন্য সুখবর সপ্তাহখানেকের মধ্যে এই দুইটি পণ্যের দাম কমতে পারে। সবগুলো চালের গুদামে এখনও নতুন চালান আসেনি, তাই দাম বেশি। নতুন চালান আসলেই দাম কমে যাবে বলে আশা করি।

চালের আড়ৎ-ছবি-শোয়েব মিথুনরাজধানীর শুক্রাবাদের খুচরা মুদি দোকানি মিলন হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, চিনি ও চালের দাম আরও আগে কমার কথা। কিন্তু পাইকারি ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সঙ্কট দেখিয়ে দাম এখনও চড়া রেখেছে। তারা না কমালে তো আমরা কমাতে পারি না।

কারওয়ান বাজারে সাপ্তাহিক বাজার করতে এসেছেন মো. আল-আমিন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, রোজার ও ঈদের পরে অন্য পণ্যের দাম কমলেও কমেনি চাল ও চিনির দাম। চাল ও চিনির বাড়তি মূল্যের জন্য আমাদের এখন পকেট ফাঁকা হচ্ছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জুলাই, ০৭, ২০১৭
এমএ/আরআর  
    
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।