ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

স্থলবন্দর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
স্থলবন্দর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ বেনাপোল স্থলবন্দর

বেনাপোল (যশোর): বাংলাদেশ স্থলবন্দরের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বেনাপোল বন্দর উন্নয়ন কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি পাঠিয়েছেন খোদ বন্দরে কর্মরত ট্রাফিক পরিদর্শক!

বিষয়টি প্রথমে ধামা চাপা থাকলেও পরে প্রকাশ হয়ে পড়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

সোমবার (১১ জুলাই) সকালে এ ধরনের চিঠির খবর ছড়িয়ে পড়ে বন্দর সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মানুষের কাছে।

চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের যাচাই-বাছাই কমিটির পরিচালক ও আহ্বায়ক এ কে এম জায়েদ হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, ইতোমধ্যে অভিযোগকারীকে ওই চিঠির জবাব দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিমও। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তবে ওই অভিযোগকারী এখন তা স্বীকার করছেন না। চিঠির সত্য-মিথ্যা সংশ্লিষ্টরা খতিয়ে দেখছেন।

এদিকে দুদক থেকে চিঠি পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন  ট্রাফিক পরিদর্শক এনামুল হক মোল্লা। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, ‘আমি নিজে ওই অভিযোগ দুদকে পাঠাইনি। তবে যিনি আমার নাম ব্যবহার করে চিঠিটি দুদকে পাঠিয়েছেন তাকে আমি সাধুবাদ জানাই। ’

এনামুল হক মোল্লা বলেন, ‘বন্দরের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সবই সত্য। আমি চেয়ারম্যানকে অনিয়মের বিষয়ে ফোনে বলেছিলাম, আপনি শুদ্ধ হন। অন্যথায় আমি উপরে (ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) অভিযোগ পাঠাবো। ’

‘তিনি (চেয়ারম্যান) ভালো কোনো বিষয়ের মতামতকে গুরুত্ব দেন না। বন্দর উন্নয়ন কাজসহ বিভিন্ন বিষয়ে ঠিকাদারদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। ’

এছাড়া নিয়োগের ক্ষেত্রেও বন্দর চেয়ারম্যান দুর্নীতি করেছেন বলে ‍অভিযোগ করেছেন এই কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন,  তদন্ত করলে সব বেরিয়ে আসবে।

এদিকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, বন্দরে অপরিকল্পিত ও নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে উন্নয়ন কাজ চ‍ালানোর কারণে বন্দরের বেহাল দশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বন্দর থেকে আমদানি পণ্য পাচার, চুরি ও অনিয়ম এখন সাধারণ বিষয়।

‘বন্দরের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বারবার কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেওয়া হলেও তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। অথচ এ বন্দর থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় করছে সরকার। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
এজেডএইচ/জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।