ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘সরকার পলিসি নিয়েছে, দেশে বিড়ি থাকবে না’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০১ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
‘সরকার পলিসি নিয়েছে, দেশে বিড়ি থাকবে না’ আবুল মাল আবদুল মুহিত (ফাইল ছবি)

ঢাকা: ভবিষ্যতে দেশে আর বিড়ি থাকবে না, এজন্য সরকার পলিসি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

রোববার (৩০ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী।

কম দামি সিগারেট ও বিড়ির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপে সরকারের কাছে স্বতন্ত্র পলিসি দাবি করেছেন দেশের শীর্ষ তামাক ব্যবসায়ীরা।

ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোস্পানি, আকিজের ঢাকা টোবাকোসহ শীর্ষস্থানীয় ১০ তামাক কোম্পানি এই দাবি জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রাহমান, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পনিসহ দেশের তামাক কোম্পনিগুলোর শীর্ষ ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ভবিষ্যতে বিড়ি না থাকা ও পলিসি গ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, তামাক বাজারের ৮০ শতাংশ বিড়ি ও নিম্নমানের সিগারেটের দখলে। এসব তামাক পণ্য স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পনিসহ দেশের তামাক কোম্পনিগুলো তাদের মতামত জানিয়েছেন। আজকের বৈঠকটা ছিল কোম্পনিগুলোর মতামত শোনার। সরকার ও নীতি নির্ধারকরা পরে বসে তামাক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

কোম্পানিগুলো কি বলেছে এমন প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, তারা তাদের সব ধরনের চাহিদার কথা জানিয়েছে। দুই পক্ষ থেকেই আলোচনা হয়েছে। তারা আমার কাছে একটাই আবেদন করেছে, তামাক বাজারের ৮০ শতাংশ বিড়িসহ অন্যান্য কম দামি সিগারেটের দখলে। এগুলো কীভাব নিয়ন্ত্রণ করা যায় সে বিষয়ে পলিসি গ্রহণ করতে, এ জন্য সরকার অবশ্যই পলিসি গ্রহণ করবে।

এতে রাজস্ব আদায়ে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, রাজস্ব আয়ে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে চাহিদা কমলে রাজস্ব আয় একটু কমবেই।

বিড়ি শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সংসদ সদস্যেদের কাছ থেকে চাপ আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর আগে অনেক চিঠি পেয়েছিলাম। এবার দুই, একটা পেয়েছি। বিড়ি বাংলাদেশে থাকবে না। এ জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৭
আরএম/জিওয়াই/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।