ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মালামাল পরিবহনে মংলা থেকে রূপপুর নৌরুটে খনন-উদ্যোগ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
মালামাল পরিবহনে মংলা থেকে রূপপুর নৌরুটে খনন-উদ্যোগ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ও নৌরুটের প্রতীকী ছবি

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য দ্রুত ও নিরাপদে ভারী মালামাল পরিবহনের জন্য নতুন করে নৌরুট খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

মংলা থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ থেকে পাকশী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত নতুনভাবে নৌরুট খনন করা হবে। এই রুটের মোট দূরত্ব ৪৬০ কিলোমিটার।

তবে খনন করতে হবে মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার নৌপথ।

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত সার্বিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাপনা সিস্টেম স্থাপনের লক্ষেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রূপপুর ভারী যন্ত্রপাতি সহজে আনা নেওয়া করার জন্য বড় ভেসেল (নৌযান) চলাচল উপযোগী ৪ দশমিক ২ থেকে ৪ দশমিক ৫ মিটার গভীরতা(ড্রাফট) বজায় রেখে নৌ-রুট সচল করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে নেভিগেশন এইড স্থাপন করবে নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়। ২০১৮ সালের জুন মাস থেকে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের যন্ত্রপাতি নৌ-রুটের মাধ্যমে আমদানি শুরু হবে। এছাড়া ভারী যন্ত্রপাতি আনতে হবে বিধায় লাইটিং সিস্টেম আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হবে।

মংলা বন্দর থেকে চাঁদপুর-মাওয়া-গোয়ালন্দ থেকে পাকশী পর্যন্ত এই নৌরুটের নাব্যতার উন্নয়নে ৯৭০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন এবং এর রক্ষণাবেক্ষণের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার (১ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির(একনেক) সভায় উপস্থাপন করা হবে।

নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-প্রধান (পরিকল্পনা উইং) এনায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, নিরাপদে, দ্রুত ও কম খরচে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে নৌ-পথে ভারী মালামাল পরিবহন করা হবে। এই লক্ষ্যে মংলা থেকে পাকশী পর্যন্ত প্রয়োজন অনুযায়ী খনন করা হবে। আমরা সার্ভে (জরিপ)করে দেখেছি, ৪৬০ কিলোমিটার নৌরুটে ৬০ থেকে ৬৫ কিলোমিটার খনন করার প্রয়োজন পড়বে। প্রকল্প মঙ্গলবার একনেকে অনুমোদন পাবে বলে আশা করছি।

পাবনা জেলার ঈশ্বরদী বাইপাস টেক অফ পয়েন্ট থেকে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মিত হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে সব থেকে ব্যয়বহল প্রকল্প। এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। প্রকল্পের মালামাল স্বল্প সময়ে যাতে করে নিরাপদে পৌঁছানো যায় সেই উদ্যোগের অংশ হিসেবেই প্রকল্পটি হাতে নেয়া হচ্ছে।

প্রকল্পের মাধ্যমে খনন কাজের পরিমাণ ৯৩ দশমিক ১০ লাখ ঘনমিটার। পদ্মা বাংলাদেশের ব্যতিক্রমধর্মী নদী। পদ্মানদীর তলদেশ অনবরত পরিবর্তন হয়। তার জন্য প্রতি ঘনমিটার মাটির খনন-ব্যয় ২৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন খনন করা নৌরুটে সাধারণ বয়ার পরিবর্তে লাইটিং বয়া স্থাপন করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
এমআইএস/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।