ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৫ ব্যাংকেই খেলাপি ঋণের ৫২ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
৫ ব্যাংকেই খেলাপি ঋণের ৫২ শতাংশ বক্তব্য রাখছেন ব্যাংকের (বিবি) গভর্নর ফজলে কবির। ছবি: দীপু মালাকার-বাংলানিউজ

ঢাকা: ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও কর্মকর্তাদের অনিয়ম দুর্নীতির কারণে ডুবতে বসেছে দেশের ব্যাংক খাত। হাতেগোনা কয়েকটি ব্যাংকেই রয়েছে মোট খেলাপি ঋণের প্রায় ৫২ শতাংশ। বাকি ৪৮ শতাংশ খেলাপি ঋণ বাকি ৫২টি ব্যাংকের। 

সোমবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি ডিপার্টমেন্টের প্রকাশিক এক রির্পোটে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।  

‘ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি-২০১৬’ শিরোনামের ওই রির্পোটে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর আয়-ব্যয়, খেলাপি ঋণ, ব্যাংকখাতের ঝুঁকির বিষয়গুলো ছাড়াও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির চালচিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে পাঁচ ব্যাংকের কাছেই রয়েছে মোট খেলাপি ঋণের ৫১ দশমিক ৮ শতাংশ। ১০ ব্যাংকের খেলাপির পরিমাণ মোট খেলাপি ঋণের ৬৫ শতাংশ ৯ শতাংশ। বাকি ৪৭ ব্যাংকে খেলাপি রয়েছে ৩৪ দশমিক ১ শতাংশ।  

রির্পোটে বলা হয়েছে, মোট খেলাপি ঋণের ১২ দশমিক ৬ শতাংশ রয়েছে তৈরি পোশাক খাতে। বস্ত্র খাতে ৮ দশমিক ৪ শতাংশ। এ ছাড়া বাণিজ্যিক খাতের খেলাপির হার ২৩ দশমিক ৪ শতাংশ। পুন:তফসিলি ঋণের হারও সর্বাধিক এই তৈরি পোশাকশিল্প খাতে। ২০১৬ সালে তৈরি পোশাক খাতে পুন:তফসিল করণ করা হয়েছে ২২ দশমিক ৭ শতাংশ। পরের অবস্থানে থাকা সামগ্রিক শিল্পখাতের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২০ শতাংশ। বড় শিল্পে মোট খেলাপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। পুন:তফসিলিকরণ করা হয়েছে বৈদেশিক বাণিজ্যের ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ ঋণ।
 
রির্পোটে উল্লেখ করা হয়, ব্যাংক খাতের মোট ঋণের সাড়ে ১০ শতাংশ একবারই পুনঃতফসিল করা হয়েছে। খেলাপি ঋণের শীর্ষে রয়েছে বাণিজ্যিক ঋণ। বাণিজ্যিক ঋণে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৩ শতাংশ। পোশাক খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১২ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য বড় ঋণের খেলাপি ১০ শতাংশ।
 
ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্ট মূলত বাংলাদেশের সামগ্রিক আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা ও সক্ষমতার চিত্র তুলে ধরার পাশাপাশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম মূল্যায়ন করে থাকে। আর্থিক খাতের গতি-প্রকৃতি, স্থিতিশীলতা ও তার প্রভাব এবং তা মোকাবেলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপ, সম্পদের মান, ঝূঁকি ব্যবস্থাপনা ও তারল্যের নির্দেশকগুলো এখানে বিশ্লেষণ করা হয়ে থাকে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সূচকগুলো উঠে আসে এই প্রতিবেদনে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান অর্থনীতিবিদ ফয়সল হোসেন, চেঞ্জ ম্যানেমেন্ট অ্যাডভাইজার আল্লাহ মালেক কাজেমী, ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান, এস এম মনিরুজ্জামান, অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি)-র চেয়ারম্যান আনিস এ খান। এসময় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীগণ উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৭
এসই/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।