বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী আর্থিক স্থিতিশীলতা পরিষদের (এফএসসি) কার্যক্রম ও কাঠামোর বিষয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
প্রস্তাবিত এই পরিষদে দেশের আর্থিক খাতের সকল নিয়ন্ত্রক অর্থ মন্ত্রণালয় ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ একচেঞ্জ কমিশন, মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি, বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারি সংস্থা অন্তর্ভুক্ত হবে। বৈঠকে আর্থিক স্থিতিশীলতা পরিষদের প্রাথমিক একটি সাংগঠনিক কাঠামোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আর্থিক স্থিতিশীলতা পরিষদের সচিবালয় হবে বাংলাদেশ ব্যাংকে। সভাপতি থাকবেন অর্থমন্ত্রী। সদস্য সচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর। অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নিয়ন্ত্রকরা থাকবেন পরিষদের সদস্য হিসেবে। সভাপতি যখন কোনো বৈঠকে কাউকে প্রয়োজন মনে করবেন, তাকে আমন্ত্রণ জানাবেন।
পরিষদের অধীনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের নেতৃত্বে নিয়ন্ত্রকদের একটি ফোরাম গঠনের কথা বলা হয়েছে। ফোরামে দুটি কার্যকরী বিভাগ থাকবে। একটি বিভাগ থাকবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যা সমাধানে। অপরটি থাকবে ক্ষুদ্র অর্থায়ন পর্যবেক্ষণের জন্য।
বৈঠকে প্রস্তাবিত পরিষদ ও বিভাগের উল্লেখযোগ্য কাঠামো এবং পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাপকভাবে আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও বৈঠকে পরিষদের কার্যক্রম ও কাজের সুযোগ নিয়ে সমালোচনামূলকভাবে আলোচনা করা হয়।
আর্থিক স্থিতিশীলতা পরিষদের প্রধান ভূমিকা হবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পদ্ধতিগত ভাবে স্থিতিশীলতা ব্যবস্থাপনা ও সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩,২০১৭
এসই/আরআই