সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে দিনাজপুর চামড়া ব্যবসায়ী মালিক গ্রুপ কার্যালয়ে এ সভা অনু্ষ্ঠিত হয়।
সংগঠনটির সভাপতি মো. তৈয়ব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আখতার আজিজ বাষিক প্রতিবেন এবং কোষাধ্যক্ষ মো. মহসীন আলী সাধারণ সদস্যদের মাঝে বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব উপস্থাপন করেন।
সমাপনী বক্তব্যে তৈয়ব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, শত প্রতিকুলতার মাঝেও আমরা চামড়া শিল্পকে বাঁচাতে এ ব্যবসাকে ধরে রেখেছি। আগামীতেও এ ব্যবসা ধরে রাখতে চেষ্টা অব্যাহত রাখবো। চামড়া ব্যবসার এমন ক্রান্তিকালে দেশ জাতি এবং নিজের স্বার্থ রক্ষা করেই ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান করেন তিনি।
আখতার আজিজ বলেন, ২০১৬ থেকে সৃষ্ট ট্যানারি স্থানান্তর নিয়ে জটিলতার অবসান হয়েছে। তবে ট্যানারিগুলো পুরোপুরি চালু হতে আরও সময় লাগবে। ইতোমধ্যে যে কয়টি ট্যানারি পূর্ণাঙ্গ চালু হয়েছে তারা চামড়া মালিকদের বকেয়া পাওনা পরিশোধে নানা সমস্যার কথা বলছে।
তিনি বলেন, প্রত্যেক কোরবানির ঈদের আগে ও পরে চামড়া ব্যবসায়ীরা বকেয়া পাওনা টাকার ব্যাপারে ট্যানারি মালিক ও আড়ৎদারদের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে একরকম বিপদেই পড়ে যায়। ট্যানারি মালিকদের কাছে যদি চামড়ার দাম বাকি পড়ে তাহলে পরের বছর ওই টাকা উঠানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। এভাবেই এক সময়ে চামড়া ব্যবসায়ী মালিকদের বকেয়া পাওনা টাকা তামাদি হয়ে যায় এবং ঝড়ে পড়ে ব্যসায়ীরা। আমাদের সতর্কতার সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যেতে হবে।
২৪তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সাধারণ সম্পাদকের রির্পোট এবং কোষাধ্যক্ষের আয়-ব্যয়ের রির্পোট সদস্যদের কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
সভায় মতামতসহ বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি হাজী আবেদ আলী, মো. মজিবর রহমান (১), সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীম সহ-কোষাধ্যক্ষ মো. আউয়াল হোসেন মিল্টন, সাধারণ সদস্য জুলফিকার আলী স্বপন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৭
জিপি/