সপ্তাহখানেক ধরে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার। যে পেঁয়াজের দাম ছিল ১৬-২০ টাকা, এখন কেজি প্রতি কিনতে হচ্ছে ৫২ টাকায়।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে সংকট দেখিয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যায় পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। যে কারণে পেঁয়াজ আশানুরূপ পাচ্ছি না। ফলে সময় সময় পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে বাংলানিউজকে জানান সোবহানীঘাট হাজি নোওয়াব আলী কাঁচাবাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী ইসরাত ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হাসান আলী। তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়লেও কমেছে চায়না ও দেশি রসুনের দাম। গত রমজানে ২শ’৬০ টাকা ছিল চায়না ও ১৭০ দেশি এবং ২২০ বুম্বাই রসুনের দাম। এখন চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকা কেজি। দেশি ও বুম্বাই রসুন ৮০ টাকা করে। খুচরা বাজারে তা ৫/১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান খুচরা বিক্রেতা আব্দুর রহিম।
তবে পেঁয়াজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ঝাঁঝ বাড়ছে কাঁচা মরিচেও। মাস দেড়েক আগে সিলেটের বাজারে মরিচ কেজি প্রতি ছিল ৩০ টাকা। শুক্রবার (১১ আগস্ট) পাইকারি বাজারে মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১শ’৪০ টাকা কেজি। বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) দেড়শ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে এই কাঁচা পণ্য। সে তুলনায় শুক্রবার বৃষ্টির কারণে বাজার মন্দা থাকায় কেজিতে ১০ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন, সোবহানীঘাট ট্রেড সেন্টারের সোনালি বাণিজ্যালয়ের মো. সাগর ইসলাম।
তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে মরিচ নষ্ট হওয়ায় দাম বেড়েছে। বেশি দামে কেনায় পাইকারি বাজারে বেশি দামে কাঁচামাল বিক্রি করতে হচ্ছে বলে জানান নগরীর রিকাবীবাজার থেকে কাঁচামাল কিনতে আসা খুচরা বিক্রেতা সাদিক মিয়া।
তিনি বলেন, পাইকারি বাজারে দাম কমছে না। আমরা কম দামে বেঁচবো কিভাবে? শুক্রবার তিনি করলা কিনেছেন ৫০ টাকা কেজি দরে, টমেটো ৯০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১শ’৪০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, লেবু (বড়) ১শ' ৫০ টাকা, ছোট লেবু ১শ’ টাকা, ছোঁয়া ৩০ টাকা, পাতা কপি ৪০ টাকা, ধনেপাতা ১শ’৫০ টাকা, আলু (রাজশাহী) ১৬ ও (মুন্সীগঞ্জী) ১৩ টাকা কেজি।
তবে সাতকরার এখন মৌসুম তাই ৪০ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে। শ্রীমঙ্গলের নাগা মরিচ ২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
**দর বেড়েছে রুই কাতলার, কমেছে ইলিশে
বাংলাদেশ সময়: ১০১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এনইউ/আরআর