বাজারে যাওয়ার পথে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলতেই বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিলাম।
রহিম মিয়া নামের এক মধ্যবয়সী যাত্রী মন্তব্য করলেন জীবনে এতো চড়া দামে কখনও সবজি কিনতে হয় নি।
আরেকজন বলে উঠলেন হবে না বৃষ্টির পানিতে সব ফসল নষ্ট হয়ে গেছে, তার নিজেরও এক বিঘা করলা খেত পঁচে গেছে। তাদের কথার চাক্ষুশ প্রমাণ মিলছিল রাজশাহী থেকে বাগমারা আসার পথের দু’ধারে। যতদুর চোখ যায় করলা, পটল, মরিচ ক্ষেতগুলো হলদে বর্ণ ধারণ করেছে।
বাজারে পা রাখতেই সবজির উত্তাপ যেনো গায়ে এসে লাগছে। ব্রিজের মুখে অবস্থিত বড়সড় কয়েকটি দোকানে দামদর করতে গেলো ক্রেতাদের। দোকানীদের সাফ কথা মোকামে বাড়লে আমরা কি করব।
বিশ বছর ধরে সবজির ব্যবসা করেন আবুল কালাম। তিনিও এখানে বস্তা বিছিয়ে সবজি বেচাকেন করেন। তিনি বললেন, এখানে সবাই সবার পরিচিত, প্রতিদিন বাড়তি দাম চাইতে লজ্জা লাগে। আবুল কালাম জানান, মাসের ব্যবধানে দ্বিগুন তিনগুন হয়ে গেছে সবজির দাম। আগে যে উস্তা ৬ থেকে ৮শ টাকা মন দরে কিনেছিলেন সেই উস্তা এখন দুই হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে।
৬শ টাকার গোল বেগুনেরর মন হাজার ছুঁয়েছে, যে পটল মাত্র ৬০ টাকা মনে পাওয়া যেতে সেই পটল এখন হাজারের ঊর্ধ্বে কিনতে হচ্ছে।
৮শ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে মন প্রতি সাড়ে তিন থেকে ৪ হাজার টাকায়। নতুন মুলা কিনতে হয়েছে দেড় হাজার টাকায়।
বাজারটিতে মুলা ৪০ টাকা, পটল ৪০, শসা ৪০, ঝিঙ্গে ৩০, করলা ৫০, কচু ২৫, কাঁচামরিচ ১২০, পেঁপে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে নাগালের মধ্যে রয়েছে আলু, মিষ্টি কুমড়া, পানি কুমড়া, লাউয়ের দাম।
তবে এখানে চড়া হলেও গত বুধবারে ঢাকার শান্তিনগর বাজারের অভিজ্ঞতায় এখানে বেশ অবাক হতে হলো, সেখানে যে শিম ২২০ টাকা কেজি দর হাঁকছেন সেই শিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা দরে।
শান্তি নগরে কোর সবজিই ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যায় নি, এখানে তবু পটল ও কচুর মুখি ২০ টাকায় মিলছে। যে পানি কুমড়া ও লাউ ৬০ থেকে সত্তর টাকা হাকা হচ্ছে বাগমারায় ১৫ থেকে ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
সপ্তাহের প্রতিদিন বাজার বসে, তবে শুক্র সোমবার এখানে হাট বসে। এদিন সকালেই দূর-দূরান্ত থেকে নানান পণ্য নিয়ে হাজির ক্রেতা বিক্রেতারা। সারাদিন চলে বিকিকিনি। এখানে ঢাকার মতো কোর বাসি সবজি বিক্রি হয়না। অনেকেই এসেছেন খেতের ফসল নিয়ে।
** ময়মনসিংহেও মাছের বাজারে উত্তাপ
বাংলাদেশ সময়: ১০২৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
এসআই/বিএস