জেলার কাঁচামাল ও অন্যান্য দ্রব্যাদির সর্ববৃহৎ বাজার ও আড়ৎ শ্রীমঙ্গলে গিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহে যেখানে পেঁয়াজের পাইকারি কেজি ছিল ১৬-১৭ টাকা, সেখানে পেঁয়াজ বর্তমানে ৪৩-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকায়।
সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, গত সপ্তাহেও কাকরোল, বরবটি, পটল, বেগুন, ঝিঙ্গা, চিচিংগা, পুঁইশাকসহ অন্যান্য সবজি ২৫-৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতো। এখন কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে এসব সবজি।
ফার্মের মুরগির ডিম গত সপ্তাহে ২৮-৩০ টাকা প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকায়।
তবে দাম কমেছে ব্রয়লার মুরগির। আগে প্রতি কেজি ১৫০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৪০ টাকায়।
বেড়েছে আটার দাম। আগে ৫০ কেজির বস্তার দাম ১ হাজার টাকা থাকলেও এখন কিনতে হচ্ছে ১১শ’ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছে।
বাজারে আসা ক্রেতা ব্যাংক কর্মকর্তা আয়াত উদ্দিন মিঠু বাংলানিউজকে বলেন, যেভাবে সবজি ও পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তাতে এখন মাসিক খরচের টাকায় টান পড়বে।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট বেতন দিয়ে পরিবার চালাতে হয়। কিন্তু এভাবে হঠাৎ করে বাজার অস্থির হওয়াটাকে স্বাভাবিক মনে হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কোন মহল এমন করছে কি না তাও সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে।
রিক্সাচালক নজিব মিয়া বাংলানিউজকে বলেন চালের দাম কিছুটা কমলে কি হবে। কি দিয়ে ভাত খাবো। বাজারে পেঁয়াজ ও সবজির দাম যেভাবে বেড়েছে।
সবজি বিক্রেতা মিজানুর রহমান মিজান বাংলানিউজকে বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়াতে বেশি দাম দিয়ে সবজি কিনে আনতে হয়। এছাড়া সবজি বহন করতেও টাকা দিতে হয়। আর এসব হিসেব করে বাজারে সবজির দাম এখন দ্বিগুণ হয়ে গেছে।
পেঁয়াজ বিক্রেতা ঝুনু চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে জানান, বন্যায় ভারতে পেঁয়াজ চাষ নষ্ট হয়ে যাওয়াতে সেখান ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। বস্তা প্রতি ৭-৮’ টাকা করে মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ী মদন চন্দ্র সাহা, অজয় দে বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে বস্তা প্রতি দ্বিগুণেরও চেয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে এতে করে বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
ডিম ব্যবসায়ী রফিক উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, পূর্বে ১শ’ ডিমের দাম ছিল ৬৭০-৮০ টাকা বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫০ টাকায়। তাই ডিমের দাম ২৮ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে এখন ৩৫ টাকা হালি বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রেতা হাসান আহমদ বাংলানিউজকে জানান, পূর্বে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হতো ১৫০ টাকা। এখন তা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়।
চাউলের আড়তদার আব্দুল হান্নান বাংলানিউজকে জানান, পূর্বে যে ৫০ কেজির মোটা চাউলের বস্তা ২ হাজার থেকে ২১শ' টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ১৮শ’ থেকে ১৯শ’ টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১১, ২০১৭
আরআই