ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিরাপদ খাদ্য আইনের সুফল আসতে শুরু করেছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
নিরাপদ খাদ্য আইনের সুফল আসতে শুরু করেছে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ/ছবি: রানা

ঢাকা: নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। এবার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে।

বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য সম্মেলন-২০১৭’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন মন্ত্রী।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০১৪ সালে ‘নিরাপদ খাদ্য আইন’ পাস করি।

এখন জনসাধারণ এর সুবিধা-সুফল ভোগ করতে শুরু করেছে। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে এবার আমাদের খাদ্য উৎপাদন কম হবে। তবে আমদানির মাধ্যমে আমরা সে ঘাটতি মোকাবেলা করবো।

দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, তিনি তার বাবার মতোই দৃঢ়চেতা মানসিকতার অধিকারী। আমরা চেয়েছিলাম সবাইকে নিয়ে নির্বাচনে যেতে। কিন্তু একটি দল নির্বাচনে আসেনি। বরং নির্বাচন ভণ্ডুলের চেষ্টা করেছে। পারেনি। ওই নির্বাচন না হলে দেশে তৃতীয় শক্তি ক্ষমতায় আসতো। তারা হাওয়া ভবন থেকে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার জনসভায় গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। সে সময়ের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নিশ্চুপ ছিলো।

মন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন করতে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত দিয়েছিলেন ও আত্মত্যাগ করেছিলেন, ৫ লাখ মা-বোন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন, ৩ লাখ মা-বোনের ইজ্জত লুট হয়েছিল। আজ দেশ স্বাধীন ও নিরাপদ। জাতিসংঘের বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা আনকটাড বলেছে, বাংলাদেশ আজ নিরাপদ বিনিয়োগের উত্তম স্থান। বিদেশে গেলে আমরা গর্ব করে বলি বিউটিফুল বাংলাদেশ, রূপসী বাংলা। আমরা সবাই মিলে এই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, এই সম্মেলনে পাওয়া সুপারিশের ভিত্তিতে নিরাপদ খাদ্য নীতিমালা তৈরি করা হবে। দেশের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সবার জন্য সব খাবার নিশ্চিন্তে পৌঁছে দিতে চাই। আমরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এবার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার কাজ করছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০৪১ নিয়ে কাজ করছেন। তখন দেশ উন্নত দেশের কাতারে গিয়ে পৌঁছুবে। কেবল অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি করলে হবে না। সবদিক দিয়ে উন্নতির জন্য সরকার কাজ করছে। আমরা বিদেশের মতো দেশের স্ট্রিট ফুড ও নিশ্চিন্তে খেতে চাই।

অনুষ্ঠানে বিএসটিআই মহাপরিচালক সাইফুল হাসিব বলেন, বর্তমানে সরকারের ১৫টি সংস্থা দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে কাজ করছে। কিন্তু নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত কেবল সরকারি সংস্থাগুলোর পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য উদ্যোক্তা, উৎপাদনকারী, বিপণনকারী ও ভোক্তাকেও এগিয়ে আসতে হবে।

নিরাপাদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মাহফুজুল হক অনুষ্ঠানে বলেন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তার স্বার্থে দেশের প্রথম এই সম্মেলন প্রাথমিক পদক্ষেপ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৭
আরএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।