ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশে সংযোজিত হচ্ছে আইশার বাস-ট্রাক 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
বাংলাদেশে সংযোজিত হচ্ছে আইশার বাস-ট্রাক  বাংলাদেশে সংযোজিত হচ্ছে আইশার বাস-ট্রাক 

ঢাকা: বাংলাদেশে অটোমোবাইল সংযোজন প্ল্যান্ট করছে ভারতের ভি ই কমার্শিয়াল ভেহিকেলস লিমিটেড। বাংলাদেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান ৠাংস গ্রুপ ও  রানার মটরসের যৌথ প্রযোজনায় ‘আইশার ব্রান্ডের’ বাস-ট্রাক উৎপাদিত হবে।

সোমবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।  

ভারতের বৃহৎ বাণিজ্যিক যানবাহন প্রস্তুতকারী ‘ভি ই কমার্শিয়াল ভেহিকেলস লি. এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘আইশার ট্রাকস অ্যান্ড বাসেস’ সম্প্রতি বাংলাদেশে তাদের সি কে ডি যানবাহন সংযোজনের কার্যক্রম শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।


 
বাংলাদেশের আইশারের সহযোগী হিসেবে রানার মটরস লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই সংযোজন কারখানাটি ভালুকায় স্থাপিত হবে। বাংলাদেশে পরিবহণ জগতে আধুনিকতা আনতে তারা এই উদ্যোগ নিয়েছে। ভালুকায় ৩৫ একর জমিতে এই প্ল্যান্টটি স্থাপিত হবে। এখান থেকে প্রতি মাসে ৫০০ ইউনিট যানবাহন সংযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন এই প্ল্যান্টে নতুন প্রজন্মের অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অ্যাসেম্বলিং লাইন ও টেস্টিং সুবিধা থাকবে। আগামি বছরের এই প্ল্যান্টের উৎপাদন শুরু হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
 
আইশার বাস ও ট্রাক গত তিন দশক ধরে সাফল্যের সঙ্গে ভারতের গাড়ি প্রস্তুত করে আসছে। আইশার বাস ও ট্রাক হালকা ও মাঝারী আকৃতির (৪ থেকে ১৫ টন) তার শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। ভারী ক্যাটাগরিতে (১৬ থেকে ৪৯ টন) ক্রমবর্ধমান হারে মার্কেট শেয়ার দখল করেছে। ইতোমধ্যে আইশার তার সম্পূর্ণ উন্নত ও আধুনিক ‘প্র’ সিরিজের ট্রাক ও বাস বাজারজাত করেছে। আইশারের প্র সিরিজের বাস ও ট্রাক সর্বাধিক জ্বালানি সাশ্রয়, অধিক মাল বহন ও গাড়ির স্থায়িত্বের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
 
সংবাদ সম্মেলনে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান, ভি ই কমার্শিয়াল ভেহিকেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিনোদ আগরওয়াল, র‌্যাংস মোটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহানা রউফ চৌধুরী,
 
বিনোদ আগরওয়াল বলেন, বাংলাদেশে আইশারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেট এবং এই দেশে আমরাই প্রথম বি এস ৩ মানের যানবাহন এনেছি। আমরা ভলভো গ্রুপের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা ও  আইশারের উদ্ভাবনী ও সাশ্রয়ী জ্বালানি প্রযুক্তির সমন্বয় ঘটিয়েছি। এছাড়াও বাংলাদেশে আমরা ‘ফুয়েল কোচিং’ এবং ক্রুজি কন্ট্রোল এর মত আধুনিক প্রযুক্তি চালু করেছি। আমরা গত ৩ বছরে বাংলাদেশে ২৫টি নতুন মডেল এনেছি, যাতে বহুবিধ ব্যবহারের প্রয়োজন মেটাচ্ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এই নতুন সংযোজন প্ল্যান্টের মাধ্যমে আমরা আমাদের অবস্থান আরও সংহত করতে পারবো।
 
হাফিজুর রহমান খান বলেন, আমরা আইশার ট্রাক ও বাসের জন্য একটি ট্রেনিং স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের টেকনিশিয়ানদেরকে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনবল তৈরি করছি।
 
সোহানা রউফ চৌধুরী বলেন, আমরা আইশারের নতুন বাস আনতে চেষ্টা করছি। আমরা সহজ কিস্তিতে আইশারের বাস বাজারে দিতে প্রস্তুত আছি। আইশার ব্র্যান্ড এদেশের পরিবহন জগতে নতুন মাত্র যোগ করবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৭
এসএম/বিএস 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।