বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকেল ৩টার দিকে মুস্তফা কামাল সংসদে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। এর আগে, প্রথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সংসদ অধিবেশন কক্ষে যান অর্থমন্ত্রী।
অধিবেশনের শুরুতেই স্পিকারের অনুমতিসাপেক্ষে বাংলাদেশের বাজেট ইতিহাস নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে, বাজেট পেশের অনুমতি নিয়ে প্রথমে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন মুস্তফা কামাল। এরপর শুরু হয় ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শীর্ষক ১০০ পৃষ্ঠার ২০১৯-২০ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন।
প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, বিগত দশক ধরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বেড়ে চলেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ও ২০৪১ সাল পর্যন্ত তা অব্যাহত রাখাই আমাদের অঙ্গীকার। আমরা এ সময়ে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হবো। এ লক্ষ্যে বাজেটে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ দশমিক ২ শতাংশ। এ সময়ে মূল্যস্ফীতি প্রাক্কলন করা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য কৃষি, শিল্প, ব্যবসা, রফতানি, আবাসন, সেবা খাতসহ সব ব্যবসা খাতকে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে নিয়ে যাওয়া। এছাড়া, দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠিকে মূল স্রোতধারায় আনা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া, শিল্প খাতে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর মাধ্যমে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা আমাদের মূল লক্ষ্য। অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া, সেবা খাত, পর্যটন ও আবাসন খাতসহ কৃষি খাতের উন্নয়নেও অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৪ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০১৯
এমআইএস/একে