কৃষি ব্যাংককে সুদ ভর্তুকি বাবদ এবং গ্রামীণ ব্যাংককে পরিশোধিত মূলধনের সরকারি অংশ হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো সারাবছর ধরে বিভিন্ন কৌশলে সরকারের কাছে মূলধন ঘাটতি পূরণে ২৫ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে চিঠি চালাচালি করলেও কৃষি ব্যাংককে ৮৪৯ কোটি টাকা, জনতা ব্যাংককে ১০০ কোটি টাকা, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককে ৫০০ কোটি টাকা ও বেসিক ব্যাংককে ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবার ব্যাংকগুলোর চাহিদা ছিল অনেক বেশি। জনতা ব্যাংক চেয়েছিল ছয় হাজার কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংক চেয়েছিল চার হাজার কোটি টাকা এবং কৃষি ব্যাংক চেয়েছিল সাত হাজার ৯৩৫ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এছাড়া পুনঃমূলধনীকরণে রাজশাহী কৃষি ব্যাংকের চাহিদা ছিল ৭৭৫ কোটি টাকা।
চলতি বছরের ২৯ জুন অর্থবিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে বিবিধ বিনিয়োগ খাতে বিনিয়োগকৃত অর্থ থেকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংককে সুদ ভর্তুকি বাবদ ১৫০ কোটি টাকা ও গ্রামীণ ব্যাংককে পরিশোধিত মূলধনের সরকারি অংশ হিসেবে এক কোটি ১২ লাখ টাকা দেওয়া হলো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী হোসেন প্রধানিয়া বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সব সময় দেশের কৃষিখাতের সার্বিক উন্নয়নে কৃষকদের ঋণ দিয়ে আসছে। বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার যে অর্থ আমাদের দেয়, সেটা কৃষকদের কল্যাণেই ব্যয় করা হয়ে থাকে।
২০১২-১৩ অর্থবছর থেকে সরকারি ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে বাজেট থেকে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া শুরু হয়। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছর পর্যন্ত মূলধন ঘাটতি পূরণে ব্যাংকগুলো পেয়েছে প্রায় ১৪ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটেও বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক হাজার ৫০ কোটি টাকা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন হলে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ আদায় অনেক বেড়ে যাবে। এতে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি কমে যাবে। এছাড়া সরকারও খেলাপি ঋণ আদায়ে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০১৯
এসই/এসএ