ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ঈদুল আজহা পর্যন্ত বিদেশি গরু প্রবেশ নিষিদ্ধ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
ঈদুল আজহা পর্যন্ত বিদেশি গরু প্রবেশ নিষিদ্ধ

ঢাকা: সারাদেশে কোরবানিযোগ্য প্রায় ১ কোটি ১৮ লাখ গবাদিপশুর মজুদের পাশাপাশি কোরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর সরবরাহ ও নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। 

বুধবার (১৬ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খসরুর  সভাপতিত্বে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায়ও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এরই আলোকে সভায় পশুর সংখ্যা নিরূপণ, কোরবানির হাটবাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পশুর ক্রয়-বিক্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা, বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পশুর গাড়ি ছিনতাই রোধ এবং দেশের পশু বিক্রেতাদের স্বার্থে ঈদুল আজহা পর্যন্ত সীমান্তপথে বৈধ-অবৈধ সব ধরনের গবাদির অনুপ্রবেশ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

সভায় জানানো হয়, দেশ মাংসে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পর থেকে ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। পূর্বে প্রতিবছর ২৪-২৫ লাখ ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশ ঘটলেও ২০১৮ সালে মাত্র ৯২ হাজার গরু ঢুকেছে দেশে।

এবার সারাদেশে কোরবানিযোগ্য ৪৫ লাখ ৮২ হাজার গরু-মহিষ, ৭২ লাখ ছাগল-ভেড়া এবং ৬ হাজার ৫৬৩টি অন্যান্য পশুর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর।

আসন্ন ঈদুল আজহায় ১ কোটি ১০ লাখ পশুর কোরবানি হতে পারে বলে সভায় জানানো হয়েছে। গতবছর ঈদে কুরবানিযোগ্য গবাদিপশুর মোট সংখ্যা ছিল এক কোটি ১৫ লাখ এবং কোরবানি হয়েছিল এক কোটি ৫ লাখের মতো।   

সভায় আরও জানানো হয়, আসন্ন ঈদে ঢাকাসহ দেশের উল্লেখযোগ্য হাটবাজারে পশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম মজুদ থাকবে। ঢাকায় ২টি সিটি করপোরেশনের আওতায় মোট ২৪টি স্থায়ী-অস্থায়ী কোরবানির হাটবাজারেও দু’টি করে ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতায় ১৪টি এবং উত্তরের অধীনে মোট ১০টি হাটবাজার বসবে।  

স্বাস্থ্যহানিকর স্টেরয়েড ও হরমোন ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে গরু মোটতাজাকরণ প্রতিরোধ এবং স্বাস্থ্যসম্মত মোটাতাজাকরণকে উৎসাহিত করতেও প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো কাজ করবে।

মৎস্য প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু পশুব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়সহ পশুবিক্রেতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত হাসিল-আদায় রোধ এবং ব্যাপারীদের নিরাপত্তানিশ্চিতকরণের ওপর জোর দেন।  

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী ওয়াসি উদ্দিন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ডিজি নাথুরাম সরকারসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৬, ২০১৯
এমআইএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।