ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশের সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
দেশের সরকারি ব্যাংকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সভা

ঢাকা: দেশের সরকারি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমেছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল। একই সঙ্গে প্রতিটি সরকারি ব্যাংকে গ্রাহকদের সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি করে সেবা উইং চালুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২২ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবির, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদারসহ রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা ব্যাংকিং খাত নিয়ে আলোচনা করেছি। সরকারি ও বিশেষায়িত ব্যাংকের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। খেলাপি ঋণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। আমি শপথ নেওয়ার সময় বলেছিলাম খেলাপি ঋণ বাড়বে না, গণমাধ্যমে এসেছে বেড়েছে। কিন্তু আসলে তা বাড়েনি। পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ২০১৮ থেকে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২০১৯ সালে কমে এসেছে।  

তাদের দেওয়া তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের খেলাপি ঋণ আগের থেকে কমেছে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সোনালী ব্যাংকে খেলাপি ঋণ ছিল ৩০.৩৮ শতাংশ, ২০১৯ জুনে এসে দাঁড়িয়েছে ২৫ শতাংশ। জনতা ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৩৭.৩২ শতাংশ, ২০১৯ জুনে এসে দাঁড়িয়েছে ৩৫.১৮ শতাংশ। অগ্রণী ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল  ২০.২৫ শতাংশ, ২০১৯ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ১৪.৫০ শতাংশ, রূপালী ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল ১৭.৯২ শতাংশ, ২০১৯ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ১৭. শতাংশ। বেসিক ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৫৭.৫৫ শতাংশ, ২০১৯ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ৫৮.২৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ছিল ৫৬.৫৪ শতাংশ, ২০১৯ সালের জুনে দাঁড়িয়েছে ৫৬.৩৫ শতাংশ।  

আমরা ব্যাংকিং খাতকে আরো জোরদার করতে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবো জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, যারা ঋণ খেলাপির মাধ্যমে ত্রুটি বিচ্যুতি তৈরি করেছে, তারা টাকা ফেরত দিতে চাইলে গ্রহণ করবো। কিন্তু যারা টাকা দেশের বাইরে নিয়ে গেছে কিংবা নিজের বালিশের নিচে রেখে দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনতা ও ফারমার্স ব্যাংকের মালিকের পরিবারের সদস্যরাও জেলে আছেন। আইন আইনের গতিতে চলে, সেভাবে চলবে।

প্রত্যেক ব্যাংকে সেবা উইং চালু করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাজ সেবা বিক্রি করা। আমরা পানি বিক্রি করি না, সেবা বিক্রি করবো। কোথাও আর্থিক খাতের অভিযোগ থাকলে অভিযোগ দিন। প্রত্যেক ব্যাংকে সেবা উইং চালু করুন। তারা অভিযোগগুলো আমাদের জানাবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে আমাদের কাজকর্মগুলো করতে চাই। এক্ষেত্রে আপনাদের সহযোগিতা চাই। এখন যদি মানুষের মনে অবিশ্বাস জন্মায় এটা দেখতে ভালো দেখাবে না।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯ 
জিসিজি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।