ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষিভিত্তিক নতুন পণ্যে অর্থায়নের সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
কৃষিভিত্তিক নতুন পণ্যে অর্থায়নের সুপারিশ ইমপ্যাক্ট অব ব্যাংক বেজড রুরাল অ্যান্ড আরবান ফাইন্যান্সিং অন ইকনোমিক গ্রোথ অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার

ঢাকা: কৃষিভিত্তিক নতুন পণ্যে অর্থায়ন করলে ঋণখেলাপি হওয়ার আশঙ্কা কম। যেমন কুমির, কাঁকড়া চাষ, কচ্ছপ, কেঁচো, উটপাখি, সাপের বিষ ও ব্যাঙের পা। ইতোমধ্যে এসব পণ্য বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। খামারিরাও লাভবান হয়েছে। ব্যাংকের একটি বড় অংশ অর্থায়ন হয় গতানুগতিক পণ্যে।

বুধবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ইমপ্যাক্ট অব ব্যাংক বেজড রুরাল অ্যান্ড আরবান ফাইন্যান্সিং অন ইকনোমিক গ্রোথ অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।  

কর্মশালায় গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা।

তিন সদস্যের গবেষণাদলে অন্যদের মধ্যে রয়েছেন, বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সোহেল মোস্তফা; সহকারী অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ ও বিআইবিএম-এর প্রভাষক রিফাত জামান সৌরভ।  

কর্মশালার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ও বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম মনিরুজ্জামান বলেন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ঋণের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে অর্থায়ন প্রবৃদ্ধি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশ ব্যাংক আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই মধ্যে এর কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকে এরই মধ্যে আর্থিক অন্তর্ভূক্তির জন্য নতুন নতুন প্রস্তাব আসছে, যা যাচাই-বাছাই চলছে।

কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে গ্রামীণ জনপদের অর্থায়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গ্রামে ৩৯ শতাংশ ঋণ ব্যাংকের মাধ্যমে বিতরণ হয়। বাকি ঋণ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার মাধ্যমে বিতরণ হয় যার সুদ ২৫ থেকে ১২০ শতাংশ। গ্রামীণ ও শহরের মানুষের মধ্যে ঋণ বিতরণ করে এসডিজি বাস্তবায়ন আরও সহজ হবে।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুল হক গ্রামীণ জনপদে আরও বেশি ব্যাংকিং কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর জোরারোপ করেন।  

বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, কৃষি ও এসএমই খাতে বেশি অর্থায়ন করতে হবে। এসডিজি বাস্তবায়নে এসব খাতে বাড়াতে হবে ঋণ প্রবাহ।  

পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিআইবিএমের সুপারনিউমারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, গ্রামীণ ও শহর অর্থায়নের মধ্যে ওভারলেপিংয়ের হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের কৃষিভিত্তিক পদক্ষেপে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হয়েছে। এ কারণে বিদেশি ব্যাংকও গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙা হয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিং ও ১০ টাকার ব্যাংক হিসাব আর্থিক অর্ন্তভুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।  

স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএম-এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও বিআইবিএমের মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন। তিনি ব্যাংকিং অন্তর্ভুক্তির ওপর জোরোরোপ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এসই/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।