ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বরিশালে চাহিদার ২০ শতাংশ পশু লাগবে বাইরের

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
বরিশালে চাহিদার ২০ শতাংশ পশু লাগবে বাইরের খামারে কোরবানির পশু, ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: দিন যতো যাচ্ছে কোরবানির ঈদের সময় ততো ঘনিয়ে আসছে। তাই কোরবানির পশু ঘিরে খামারি থেকে শুরু করে বেপারি পর্যন্ত চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। পর্যাপ্ত পশুর যোগান নিশ্চিত করতে এরইমধ্যে মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

তবে হিসেব অনুযায়ী, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় কোরবানির জন্য যে পশুর প্রয়োজন, তার ২০ শতাংশের মতো যোগান দিতে হবে পার্শ্ববর্তী বিভাগ ও জেলা থেকে। পাশাপাশি বাজারে দেশীয় ও স্থানীয় গরুর একক আধিপত্য থাকলে খামারিরা লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় চার লাখ ৮০ হাজার ৩৬৫টি পশু কোরবানি হয়েছিল। এর মধ্যে গাভী বা বকনা গরুর সংখ্যা ছিল ২৯ হাজার ৮২৭টি, ষাঁড় বা বলদ গরুর সংখ্যা ছিল তিন লাখ ১৫ হাজার ২৪২টি, মহিষ ছিল ৭৮৩টি, ছাগল ছিল এক লাখ ৩২ হাজার ১৬৩টি ও ভেড়া ছিল দুই হাজার ৩৩৬টি।

গতবছর কোরবানি দেওয়া মোট পশুর সঙ্গে দুই থেকে তিন শতাংশ চাহিদা এবার বাড়বে বলে দাবি প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তাদের। সে হিসেবে বরিশাল বিভাগে এবারের কোরবানিতে প্রায় চার লাখ বা চার লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে এ বিভাগে ১৫ হাজার ১৪৪ জন খামারির কাছ থেকে এখন পর্যন্ত গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৯০ হাজার পশুর হিসেব পাওয়া গেছে।

যদিও এখন পর্যন্ত সব খামারি ও গৃহস্থালির গরুর হিসেবে চূড়ান্তভাবে উঠে আসেনি। তবে গত বছর শুধু স্থানীয় খামারিরা দেড় লাখের উপরে গরুর যোগান দিয়েছিলেন বলে দাবি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের।

বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নুরুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, গত বছর খামারি ও গৃহস্থালির পশুর মাধ্যমে ৮০ শতাংশ কোরবানির যোগান দেওয়া হয়েছিল। বাকি ২০ শতাংশ পশু যশোর, ঝিনাইদহ, বগুড়া, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা ও বাগেরহাট থেকে সরবরাহ করা হয়েছিল। বিগত দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এবার গত বছরের চেয়ে দুই থেকে তিন শতাংশ পশুর চাহিদা বাড়তে পারে। সে হিসেবে খামারি ও গৃহস্থালির পশুর পর এবারও পার্শ্ববর্তী বিভাগ ও জেলাগুলো থেকে ২০ শতাংশ পশু সংগ্রহ করার প্রয়োজন পড়তে পারে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক ডা. কানাই লাল স্বর্ণকার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের ধারণা ২০ শতাংশের কিছু বেশি গরু বাহিরের জেলা থেকে সরবরাহ করার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। বাকি ৬০ শতাংশ পশু স্থানীয় খামারি এবং ২০ শতাংশ গৃহস্থালি পর্যায় থেকে যোগান দেওয়া সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, বরিশালে উত্তরবঙ্গের মতো বৃহৎ আকারে পশু বিশেষ করে গরু পালন না হলেও এখানে খামারির সংখ্যা কম নয়। প্রাকৃতিক ও নিরাপদ পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন খামারিরা। যার প্রতিনিয়ত দেখভাল ও খোঁজখবর নিচ্ছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। যদি ভারতীয় গরু না আসে এবং স্থানীয় গরুর দখলে বাজার থাকে, তবে এ এলাকার কৃষক বা খামারিরা লাভবান হবেন।

এসময় তিনি এও বলেন, গোটা দেশে যে পরিমাণ পশু রয়েছে, তাতে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব।

বাংলা‌দেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০১৯
এমএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।