ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যাংকারদের আইসিটিতে দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোরারোপ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
ব্যাংকারদের আইসিটিতে দক্ষতা বাড়ানোর ওপর জোরারোপ মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কর্মশালায় উপস্থিত অতিথিরা

ঢাকা: ব্যাংকিংখাতে তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ সুফল পেতে হলে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাংকারদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান এবং দক্ষতা বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষায় অটোমেশন ব্যবস্থা নিরীক্ষা কার্যক্রম আরও কার্যকর এবং ফলপ্রসূ হবে।

সোমবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ইউজ অব ইনফরমেশন টেকনোলজি ইন এনহ্যান্সিং ইফিসিয়েন্সি অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল সিস্টেমস’ শীর্ষক গবেষণা কর্মশালায় উপস্থাপিত গবেষণা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

গবেষণা দলে ছিলেন- বিআইবিএম’র সহকারী অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন; বিআইবিএম’র প্রভাষক রাহাত বানু; আল-আরাফাহ ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট কামাল হোসেন।

 

কর্মশালার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএম নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম. মনিরুজ্জামান বলেন, ব্যাংকিংকে আরও সহজ এবং গতিশীল করতে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যাংকিং কার্যক্রম পুরোপুরি তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক হলে পরিদর্শন কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে। একই সঙ্গে ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের শাখা পর্যায় পর্যন্ত নজরদারি অনেক সহজ হবে।  

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবসময়ই ব্যাংকিং অটোমেশনের জন্য কাজ করছে। এরইমধ্যে সংশ্লিষ্ট একটি গাইডলাইনও তৈরি করা হয়েছে।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএম’র মহাপরিচালক মহা. নাজিমুদ্দিন বলেন, প্রকৃতপক্ষে এধরনের গবেষণা ব্যাংকিং সেক্টরের নীতি নির্ধারণে ও চিহ্নিত সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমি আশা করি, আজকের বিষয়টির ওপর সবার অভিজ্ঞতা, ধারণা বিনিময় হবে এবং ভবিষ্যতে ব্যাংকের নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রে গবেষণাটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

বিআইবিএম’র চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, সুশাসনের মাধ্যমে আইসিসি এবং আইটিকে ঠিক রাখতে হবে। এতে ব্যাংকিং পেশা আরও ফলপ্রসূ হবে। ব্যাংকিংখাতে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আসছে এজন্য দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা প্রয়োজন। ব্যাংককর্মীদের প্রশিক্ষণের ওপর সর্বোচ্চ জোরারোপ করতে হবে।

পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ব্যাংকিংয়ে আইটিকে আলাদা কোনো বিভাগ বা উইং বলার সুযোগ নেই। আইটি ব্যাংকিংখাতের অবিচ্ছেদ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং ব্যাংকিং ব্যবসায় এর প্রয়োগ সুদূরপ্রসারী। ঝুঁকি কমাতে আইটি অনেক সাহায্য করে। এর দুর্বলতা ব্যাংকের অনেক অনিয়মের জন্ম দেয়। এছাড়া এসডিজির লক্ষ্য অর্জনে আইটিখাতের উন্নয়ন প্রয়োজন।

বিআইবিএম’র সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ইয়াছিন আলি বলেন, ব্যাংকিংখাতে শুধু আইটি লোকজনের দক্ষতা থাকলে হবে না। আইটি সম্পর্কে সবার ন্যূনতম জ্ঞান না থাকলে ব্যাংকিংখাতের প্রসারণ হবে না।  

আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনিতুর রহমান বলেন, ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি প্রযুক্তিভিত্তিক করতে হবে। ব্যাংকিংখাতে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে। এতে ব্যাংকিংখাত আরও এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এসই/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।