ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘কেউ না এলেও পরিবেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
‘কেউ না এলেও পরিবেশ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত’ পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানসহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অন্য অতিথিরা/ছবি- সংগৃহীত

ঢাকা: আমাদের নিজের কাজ আমরাই করবো। উন্নয়ন সহযোগীরা কেউ না এলেও পরিবেশ ঝুঁকি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

সোমবার (২৯ জুলাই) নগরীর লেকশোর হোটেলে আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) মেম্বার্স প্লাটফর্ম ফর সাসটেইনেবল বাইডাইভার্সিটি কনজারভেশনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
 
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার প্রধানের প্রধান বার্তা আমাদের কাজ আমাদের করতে হবে।

কেউ এলে ভালো, না এলে আমাদের কাজ আমাদের করতে হবে। আমরা গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড করেছি নিজেদের অর্থায়নে। গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডের অর্থায়নের বিষয়ে জাতিসংঘ আমাদের আশ্বাস দিয়ে থাকে, কিন্তু কিছুই দেয় না। তাই নিজেরাই গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড করেছি’।
 
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, ‘সবকাজ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে করতে চাই। আমরা সবসময় মঙ্গলজনক কাজ করবো, কোনো খারাপ কাজ করবো না। আমাদের সরকার চারদিকে কাজ করছে, খুব তাড়াহুড়ার মধ্যে রয়েছি। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দারিদ্র্য নিরসন, বিদ্যুৎ সরবরাহ, সড়ক যোগাযোগ উন্নয়ন কাজে বেশি নজর দিচ্ছি। ’
 
দেশের প্রকৃতি-পরিবেশ রক্ষার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগামীতে দেশের উন্নয়নে আরো কাজ বাড়াতে হবে। তবে দেশের সব পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে। ধানের জমি ব্যবহার করা যাবে না। আমি জলাভূমির সন্তান, ঘুম থেকে উঠেই হাওর দেখেছি। প্রকৃতিকে তার মতো থাকতে দিতে হবে, অহেতুক নাড়াচাড়া করা যাবে না। তবে আমরা জানি কারা মাটি ও আকাশ ধ্বংস করছে, কারা পরিবেশ ক্ষতি করেছে। উন্নত দেশগুলো পরিবেশ ধ্বংস করছে অথচ এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে আমাদের ওপর। ’
 
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সরকারের আরেকটি ঘোষিত নীতি ধান ও ফসলের জমি নেওয়া যাবে না। অনেকে সোলার প্রকল্প নিয়ে আসে কিন্তু জমি বেশি লাগবে বলে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়নি। ’

চলতি বছরে শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাবে জানিয়ে এম এ মান্নান বলেন, আমরা প্রকৃতি রক্ষার্থে কাজ করছি। তারপরও রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে হচ্ছে। মানুষের প্রয়োজনে অনেক কিছু করতে হচ্ছে। বর্তমানে ৯২ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ দিচ্ছি, এই বছরের মধ্যে শতভাগ ঘরে বিদ্যুৎ যাবে। ’
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত সিডসেল বিকাকেন, জাতীয় নদীরক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ইউএনডিপি’র আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এমআইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।