ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অনুদানের ৬৪ হাজার ডলার ফিরিয়ে দিল ব্র্যাক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৯
অনুদানের ৬৪ হাজার ডলার ফিরিয়ে দিল ব্র্যাক ব্র্যাকের লোগো

ঢাকা: দেশের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ফাউন্ডেশন ফর স্মোক ফ্রি ওয়ার্ল্ডকে (এফএসএসডাব্লিউ) অনুদানের ৬৪ হাজার ১১৫ মার্কিন ডলার ফিরিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের তামাক প্রক্রিয়াজাত কোম্পানি ফিলিপ মরিস ইন্টারন্যশনালের (পিএমআই) সহায়তায় এফএসএসডাব্লিউ কার্যক্রম পরিচালনা করে বলেই ব্র্যাক এই বিশাল অঙ্কের অনুদান ফিরিয়ে দেয়- এমনটি জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) আরেক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা প্রজ্ঞার পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য পাওয়া যায়। মূলত প্রজ্ঞা বাংলাদেশে ধূমপানমুক্ত করার কাজের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য নিজে থেকে ব্র্যাককে এই অর্থ ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানায়।

ব্র্যাক এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশকে ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলো বলে মনে করে প্রজ্ঞা। এমনকি বাংলাদেশ সরকারও এই ধূমপান কোম্পানির সঙ্গে বিশাল এই প্রকল্পের অংশীদার না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল; যেহেতু এফএসএসডাব্লিউ পিএমআইয়ের অর্থায়নে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ব্র্যাক দেশের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে অধিষ্ঠ হলো। প্রজ্ঞা মনে করে, ব্র্যাকের এই অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে তামাকজাত কোম্পানির সঙ্গে সংস্থাটির যেকোনো চুক্তিতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এফএসএসডাব্লিউ মূলত বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য উন্নয়নমূলক কাজ করে। সংস্থাটির দেশের বস্তিবাসীদের ক্ষতিকর দিকগুলো সমাধানকল্পে দরিদ্রদের নিয়ে একটি গবেষণায় ৯২ হাজার ৬২০ মার্কিন ডলার ব্যয় করার কথা ছিল।

কিন্তু দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী বা বস্তিবাসীদের নতুন একটি ব্র্যান্ডের সিগারেট গ্রহণ করার তাগিদে পিএমআই এফএসএসডাব্লিউকে এই অর্থায়নে রাজি হয়েছিল। তাদের ধারণা- দেশের বস্তিবাসীরা খাবারের অভাবে থাকলেও সিগারেট খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো কার্পন্য করেন না।

তাই প্রজ্ঞা আশা করেছিল, এফএসএসডাব্লিউ ফিলিপ মরিসন ইন্টারন্যাশনালের মতো সহযোগী প্রতিষ্ঠানের সহায়তা গ্রহণ থেকে বিরত থাকবে। সেটা হয়েছেও।

ইতোমধ্যে বাংলাদেশে তামাকবিরোধী আন্দোলনে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এফএসএসডাব্লিউ ব্যাপক অবদান রেখেছে। আশা করা যায়, সে অনুসারে এবং সরকারের প্রচেষ্টায় ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ধুমপানমুক্ত দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, আগস্ট ০১, ২০১৯
এমএএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।