মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) শেরে বাংলানগর এনইসি মিলনায়তনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল একথা বলেন। রাষ্ট্রীয় সোনালী, রূপালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকের এমডি ও চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা কীভাবে বোনাস নেবো, কে কতটা বোনাস নেবে, কীসের ভিত্তিতে বোনাস নেবো- বোনাস নেওয়া তো কিছু ইনডিকেটর্সের উপর নির্ভর করে। সেই ইনডিকেটর্সগুলো আমরা বসিয়ে দিচ্ছি। আমরা এ কাজগুলো করছি। কাজগুলো আগে করার সুযোগ পাইনি।
খেলাপিঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা আইনি প্রক্রিয়ার কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসবো যাতে আমাদের ব্যাংক থেকে কোনো ঋণগ্রহিতা ঋণ নিয়ে পার না পান। ঋণগ্রহিতা কোম্পানির পরিচালক, চেয়ারম্যান সবাই পারসোনাল গ্যারান্টি দেবে। এসব গ্যারান্টিগুলা আইনি প্রক্রিয়ায় শক্তিশালী করা হবে। কেউ যদি ঋণ পরিশোধে ফেল করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা অ্যাকশন নিতে পারবো। এগুলো করতে পারলে খেলাপিঋণ বাড়বে না। মূলত আইনি প্রক্রিয়ার দুর্বলতার কারণেই খেলাপিঋণ বেড়েছিল। এখন খেলাপিঋণ বাড়ার কোনো সুযোগ নেই।
‘আগে খেলাপিঋণ হয়েছে। যারা জড়িত তাদের শাস্তির বিধান নিয়ে আসবো। কাস্টমার দায়ী থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, একইভাবে ব্যাংকের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে বাড়বে না। আইনি পরিবর্তন নিয়ে আসবো। তাহলে কেউ রক্ষা পাবে না। সুতরাং, বলতে পারি খেলাপিঋণ বাড়বে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, চারটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাংক থেকে আমরা কার্যক্রম নিয়েছি। যাতে ব্যাংকের রেভিনিউ বাড়ে। কারণ এই চারটি ব্যাংক অর্থনীতির বিশাল এলাকা কাভার করে। যেখানে ব্যাংকের একাধিক শাখা আছে সেগুলো স্থানান্তর করবো। একজনের কাস্টমার আরেকজন নিতে যাতে না পারে। আমরা ব্যাংকে হেলদি কমপিটিশন দেখতে চাই।
‘আমরা তিনমাস পর পর চারটি ব্যাংক বসবো। আমাদের মূল্যায়ন আমরাই করবো। আমাদের বিরুদ্ধে আগে যা দেখেছেন সেগুলো দেখতে পাবেন না। আমরা চারটি ব্যাংকের প্রিন্টিং স্টেটমেন্ট কোয়ার্টালি দেবো। আমরা বিশ্বাস করি এদেশের মানুষের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা আছে সেখান থেকে আমরা কাজ করবো। ’
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আমরা দেশের জন্য কাজ করছি। দেশের কল্যাণে সবকিছু বাস্তবায়ন করছি। বাস্তবায়ন না করলে আজ আমরা হংকং, সিঙ্গাপুর, নিউজিল্যান্ডের উপরে কেমন করে গেলাম?
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯
এমআইএস/এএ