আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফামের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
সুইজারল্যান্ডের দাভোসে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনীতি ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে টাইম টু কেয়ার শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে অক্সফাম।
দিন যতই যাচ্ছে ততই ধনী-গরীবের মধ্যে বৈষম্য বাড়ছে। সেই বৈষম্য এতটাই প্রকট যে বিশ্বের এক শতাংশ শীর্ষ ধনীর সম্পদের পরিমাণ পুরো বিশ্বের ৬৯০ কোটি মানুষের দ্বিগুণ।
এখানেই শেষ নয় মাত্র দুই হাজার ১শ ৫২ জন শীর্ষ ধনীর সম্পদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বিশ্বের ৪৬০ কোটি মানুষের মোট সম্পদের চেয়েও বেশি। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে গেলো এক দশকে বিশ্বে শীর্ষ ধনীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। যারা বিশ্বের ৬০ শতাংশ জনগোষ্ঠীর চেয়েও বেশি সম্পদশালী।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নারীদের চেয়ে পুরুষরা ৫০ শতাংশ বেশি সম্পদের মালিক। বিশ্বের ২২ জন শীর্ষ ধনীর কাছে যে সম্পদ আছে তা আফ্রিকার ৩২ কোটি ৬০ লাখ নারীর সম্পদের চেয়ে বেশি। বিদ্যমান অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় নারীদের শ্রমের সঠিক মূল্যায়ন হচ্ছে না।
অক্সফামের মতে বিশ্বের নারীরা প্রতিদিন এক হাজার ২৫০ কোটি ঘণ্টা বিনামূল্যে শ্রম দেয়। এসব শ্রমের যে অর্থনৈতিক মূল্য যুক্ত হচ্ছে তা প্রযুক্তি শিল্পের চেয়ে তিনগুণ বেশি। নারীদের বিনামূল্যে করা কাজ প্রতিবছর অন্তত ১০ লাখ ৮০ হাজার কোটি ডলার মূল্য যোগ করছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় হিসেবে ন্যায্য সমতার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক নীতি প্রণয়নের তাগিদ দিয়েছে অক্সফাম। বিশেষ করে ধনীদের ওপর কর বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আর আদায়কৃত অর্থ, বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্যসেবা ও ভালোমানের স্কুল প্রতিষ্ঠার কাজে ব্যয় করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও অর্থনীতিবিদ ড. মির্জ্জা এবি আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্বব্যাপী যে হারে কর্মসংস্থান বাড়ার কথা তা বাড়েনি। কর্মসংস্থান না বাড়লে গরিব মানুষের আয় কমে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে সেটা ধনীদের ক্ষেত্রে পুরো উল্টো চিত্র। ফলে ধনী গরিবের বৈষম্য বেড়েই চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
এসই/আরআইএস/