রোববার (২৭ জানুয়ারি) এসএমই ফাউন্ডেশনের সভা কক্ষে ফাউন্ডেশনের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সফিকুল ইসলাম এবং ব্যাংক এশিয়ার পক্ষে প্রেসিডেন্ট ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দেশের ৬টি এসএমই ক্লাস্টার ও ক্লায়েন্টেল গ্রুপের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাকে বেসরকারি ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে ১৭ কোটি টাকা ঋণ দেবে এসএমই ফাউন্ডেশন।
ঋণের বিপরীতে সর্বোচ্চ শতকরা মাত্র ৯ ভাগ সুদ নিতে পারবে ব্যাংক।
চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ৫ বছরে বগুড়ার শাঁওইল হ্যান্ডলুম ক্লাস্টারের উদ্যোক্তারা ঋণ পাবেন ৪ কোটি টাকা। নরসিংদীর মাধবদী টেক্সটাইল ক্লাস্টারের উদ্যোক্তারা ৩ কোটি টাকা, কুষ্টিয়ার কুমারখালী টেক্সটাইল ক্লাস্টারের উদ্যোক্তারা ২ কোটি,
মুন্সিগঞ্জের গার্মেন্টস ক্লাস্টারের উদ্যোক্তারা ২ কোটি, ঢাকার শ্যামপুর, জুরাইন ও কদমতলী ইলেকট্রিক্যাল ক্লাস্টারের উদ্যোক্তারা ৪ কোটি এবং সারাদেশের উৎপাদন ও সেবাখাতের নারী উদ্যোক্তারা ২ কোটি টাকা পাবেন।
প্রত্যেক উদ্যোক্তা সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জামানতবিহীন ঋণ নিতে পারবেন। চলতি মূলধন, মূলধনী যন্ত্রপাতি ক্রয়, টেকনোলজি উন্নয়ন ও সিজনাল এ ঋণের
মেয়াদ ৩ বছর।
সম্প্রতি এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট হোলসেলিং প্রোগ্রাম সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের অনুকূলে ৫০ কোটি
টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের মধ্যে চুক্তিনামা স্বাক্ষর করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মনোনীত ব্যাংক হিসেবে ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে চুক্তিনামা স্বাক্ষর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১১ বছরে ব্যাংক এশিয়ার মাধ্যমে ঢাকার শ্যামপুর, জুরাইন ও কদমতলী ইলেকট্রিক্যাল ক্লাস্টারের ১২১ জন উদ্যোক্তাকে ৮ কোটি, বগুড়ার শাঁওইল হ্যান্ডলুম ক্লাস্টারের ৮২ জন উদ্যোক্তাকে ৩ কোটি ৬১ লাখ এবং ৫৫ জন নারী উদ্যোক্তাকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকাসহ মোট ২৫৮ জন উদ্যোক্তাকে ১৩ কোটি ১১ লাখ টাকা ঋণ দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন।
এছাড়ার গত ১১ বছরে এসএমই ফাউন্ডেশনের ক্রেডিট হোলসেলিং প্রোগ্রামের আওতায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত ৩১টি ক্লাস্টার ও ক্লায়েন্টেল গ্রুপের ১৮৫৭ উদ্যোক্তাকে ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৯২ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে এসএমই ফাউন্ডেশন। এর মধ্যে ১৩৪৫ জন পুরুষ উদ্যোক্তা এবং বাকি ৫১২ জন নারী উদ্যোক্তা। যে ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করা হয় সেগুলো হলো- মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংক, এনআরবি ব্যাংক, ইউনাইটেড
কমার্সিয়াল ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক আর ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান হলো মাইডাস ফাইন্যান্সিং ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স।
বাংলাদেশ সময়: ১০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
জিসিজি/আরএ