মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) অপারেটরটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০১৯ সালের শেষ প্রান্তিকে মোট রাজস্ব দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬২০ কোটি টাকা, যা আগের বছর একই সময়ের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
চতুর্থ প্রান্তিকে সাত লাখ নতুন গ্রাহক গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে যোগ দিয়েছে।
গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল প্যাট্রিক ফোলি বলেন, রেগুলেটরি দৃষ্টিকোণ থেকে ২০১৯ সাল গ্রামীণফোন একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে পার করেছে। নানা ধরনের বিধিনিষেধ আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ব্যাহত করেছে। তবে চমৎকারভাবে বাজার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং নেটওয়ার্কে আমাদের শক্তিশালী অবস্থান ধরে রাখার মাধ্যমে আমরা ব্যবসায়িক সাফল্য অজর্ন করতে সক্ষম হয়েছি। পরিকল্পিত লক্ষ্য অনুযায়ী চতুর্থ প্রান্তিকে ফোরজি সাইটের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১০ হাজার। বছর শেষে আমাদের নেটওয়ার্কে ফোরজি গ্রাহকের সংখ্যা ১ কোটি ১৯ লাখে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। ইন্টারনেট সেবাখাতে এর ব্যবহার ও রাজস্ব অর্জন দুটি ক্ষেত্রেই প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি।
মাইকেল ফোলি বলেন, মোবাইল সেবাখাতের উন্নয়ন ও বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধিতে এর অবদান ধরে রাখতে সরকার ও খাতসংশ্লিষ্টদের মধ্যে যেকোনো অর্থপূর্ণ আলোচনা করতে আমাদের প্রতিশ্রুতি আমরা পুনর্ব্যক্ত করতে চাই।
২৫ দশমিক ৪ শতাংশ মার্জিনসহ ২০১৯ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মোট মুনাফার পরিমান দাড়িয়েছে ৯২০ কোটি টাকা। শেষ প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ দশমিক ৮১ টাকা।
গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, শক্তিশালী মার্জিন নিয়ে গ্রামীণফোন ২০১৯ সালে ব্যবসায়িক সাফল্য অজর্ন করেছে। চতুর্থ প্রান্তিকে আমরা তীব্র প্রতিযোগিতা ও বৈরী আবহাওয়া সত্ত্বেও ইন্টারনেট সেবাখাতে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি অর্জনে সফল হয়েছি। আমাদের শেয়ারহোল্ডার ও গ্রাহকদের জন্য আরও বেশি মানসম্মত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে শক্তিশালী নেটওর্য়াক নির্মাণ ও বিতরণ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে। আমরা আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই সম্মানিত শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আমাদের পরিচালনা পর্ষদ প্রতি শেয়ারে ১৩ টাকা লভ্যাংশের প্রস্তাব করেছেন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) পরিচালনা পর্ষদের সভায় গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ২০১৯ সালের জন্য প্রতি শেয়ারে ১৩ টাকা লভ্যাংশ প্রস্তাব করেছেন। এর মাধ্যমে মোট নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ দাড়ালো ১৩০ শতাংশ, যা কর পরবর্তী লভ্যাংশের ৫০ দশমিক ৮৬ শতাংশ (৩৫ শতাংশ অর্ন্তবতী লভ্যাংশসহ)।
আগামী ২৩ এপ্রিল বার্ষিক সাধারণ সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে ১৭ ফেব্রুয়ারি রেকর্ড ডেট অনুযায়ী শেয়ারহোল্ডাররা এ লভ্যাংশের যোগ্য হবেন।
চতুর্থ প্রান্তিকে নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ৩৯০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এনওসি বন্ধের কারণে গ্রামীণফোনকে পরিকল্পিত বিনিয়োগের চেয়ে কম বিনিয়োগ করতে হয়েছে। শেষ প্রান্তিকে নেটওর্য়াক আধুনিকায়নের পাশাপাশি ৭১৫টি নতুন ফোরজি সাইট করা হয়েছে। ২০১৯ শেষে গ্রামীণফোনের মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫০৮। গ্রামীণফোন ২০১৯ সালে কর, ভ্যাট, ফোরজি লাইসেন্স ফি, স্পেকটার্ম অ্যাসাইনমেন্ট ফি, ডিউটি ও ফি বাবদ সরকারি কোষাগারে ৮৫১০ কোটি টাকা দিয়েছে, যা মোট আয়ের ৫৯ দশমিক ২ শতাংশ ।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৮, ২০২০
এমআইএইচ/এফএম