এদিন সকাল ১১টার পর থেকে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মেলা প্রাঙ্গণ পূর্ণ হতে শুরু করে। গত ১৪ জানুয়ারি সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে উৎসবমুখর পরিবেশে মাসব্যাপী মেলার উদ্বোধন করা হয়।
সোনারগাঁ কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ জানান, মেলার শুরু থেকে শীতের কারণে দর্শনার্থীদের ভিড় কম থাকলেও শুক্রবার ব্যাপক দর্শনার্থীর দেখা পাওয়া গেছে। আশা করছি, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীত কিছুটা কমবে আর এতে দর্শনার্থীর সংখ্যাও বাড়বে।
তিনি আরও জানান, এবার দেশের পল্লী অঞ্চল থেকে ৬৪ জন কারুশিল্পী মেলায় প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন। তাদের জন্য ৩২টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে নওগাঁ ও মাগুরার শোলাশিল্প, রাজশাহীর শখের হাড়ি, চট্টগ্রামের তালপাখা ও নকশী পাখা, রংপুরের শতরঞ্জি, সোনারগাঁয়ের হাতি, ঘোড়া, পুতুল ও কাঠের কারুশিল্প, নকশীকাঁথা, বেত ও বাঁশের কারুশিল্প, নকশী হাতপাখা, সিলেট ও মুন্সিগঞ্জের শীতলপাটি, কুমিল্লার তামা-কাঁসা-পিতলের কারুশিল্প, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কারুপণ্য, কিশোরগঞ্জের টেরা কোটাশিল্প, সোনারগাঁয়ের পাটের কারুশিল্প, নাটোরের শোলার মুখোশ শিল্প, মুন্সিগঞ্জের পটচিত্র, ঢাকার কাগজের হস্তশিল্পসহ মেলায় মোট ১৫৪টি স্টল স্থান পেয়েছে।
এছাড়া লোক কারুশিল্প মেলা ও লোকজ উৎসবে বাউলগান, পালাগান, কবিগান, ভাওয়াইয়া ও ভাটিয়ালী গান, জারি-সারি ও হাছন রাজার গান, লালন সংগীত, মাইজভান্ডারী গান, মুর্শিদী গান, আলকাপ গান, গায়ে হলুদের গান, বান্দরবান, বিরিশিরি, কমলগঞ্জের-মণিপুরী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শরিয়তী-মারফতি গান, ছড়া পাঠের আসর, পুঁথিপাঠ, গ্রামীণ খেলা, লাঠি খেলা, দোক খেলা, ঘুড়ি ওড়ানো, লোকজ জীবন প্রদর্শনী, লোকজ গল্প বলা, পিঠা প্রদর্শনী ইত্যাদি থাকবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মেলায় আসা দর্শনার্থী ও অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরার আওতায় মেলার নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
আরবি/