বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কোনো ধরনের পরীক্ষা-নিরিক্ষা না করলেও বাংলাদেশে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা করেন স্থানীয় বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা।
কাস্টমস বা বিজিবি কাছে যাওয়ার আগেই এসব চালকদের পরীক্ষা করান চিকিৎসকরা।
কামালপুর স্থলবন্দরের প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক প্রতিদিন কাজ করে। ভারতীয় ট্রাক চালকদের পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেওয়ায় স্থানীয় শ্রমিকসহ আমদানি-রপ্তানিকারকরাও খুশি।
কামালপুরের স্থল বন্দরের কর্মরত শ্রমিক মোশারফ বাংলানিউজকে বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসনীয়। কারণ কোনো কারণে আমাদের দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে মহমারি হয়ে যাবে।
অপর শ্রমিক আয়শা খাতুন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা গরীব মানুষ, এই রোগ আমাদের এখানে ছড়িয়ে পড়লে বিনা চিকিৎসায় মারা যাব।
কামালপুর স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি কৃষিবিদ আব্দুল্লাহ আল মোকাদ্দেছ রিপন বাংলানিউজকে জানান, এতদিন আমরা অত্যন্ত ভয়ে ছিলাম। সরকারের এই পদক্ষেপের ফলে করোনা ভাইরাসের ভয় অনেকটাই কেটে গেছে।
বকশীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার জাহিদুল আরেফিন বাংলানিউজকে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দুইজন এমবিবিএস ডাক্তার গিয়ে করোনা ভাইরাস সনাক্তে কাজ করে। কোনো ধরনের সন্দেহ হলে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২০
এনটি