বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সুবিধাবঞ্চিত দুস্থ ও গরিব প্রায় ১০০০ (এক হাজার) পরিবারের মধ্যে এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
আব্দুল মোমেন লিমিটেডের পক্ষে গ্রুপ সিইও কামরুল হাসান এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিরপুর বিভাগের দারুসসালাম জোনের অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী এই সময় উপস্থিত থেকে ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।
কামরুল হাসান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, আব্দুল মোনেম গ্রুপ লিমিটেড দুস্থ মানুষের সেবায় সবসময় কাজ করবে এবং এই দুর্যোগ চলাকালীন ও দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে মানবতার কল্যাণে আর কি কি পদক্ষেপ নেওয়া যায় সে বিষয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করছে।
তিনি ত্রাণসামগ্রী বিতরণে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্বক্ষণিক সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
কামরুল হাসান বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনায় বাংলাদেশ পুলিশের সহায়তা ছাড়া সুশৃঙ্খল ও সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মাহমুদা আফরোজ লাকী বলেন, বেসরকারি ও কর্পোরেট মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জন্য এ ধরনের সাহায্য কার্যক্রম নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা ছাড়াই অনেক প্রতিষ্ঠান মানবতার টানে এ ধরনের ত্রাণ কার্যক্রম নিজেদের মত করে বিচ্ছিন্নভানে শুরু করে। ফলে অনেক সময় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে ভিড় এড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বন্টন অত্যন্ত জরুরি।
তিনি নিশ্চিত করেন এক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ঘরে ঘরে গিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ বন্টনে সহয়হতা করতে নাগরিকের সুরক্ষার দিকটি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে।
মাহমুদা আফরোজ লাকী আরও বলেন, আগ্রহী প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বদা সচেষ্ট ও আন্তরিক।
মিরপুরের শাহ আলী থানার বস্তি এলাকা, টোলারবাগ লকডাউন এলাকার বস্তি এলাকা এবং সম্প্রতি অগ্নি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বস্তি এলাকায় দুস্থ পরিবারের মধ্যে প্রত্যেক পরিবারের জন্য প্রায় ১০ দিনের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় আব্দুল মোনেম লিমিটেডের বিভিন্ন কর্মকর্তা ও মিরপুর দারুসসালাম জোনের পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৩, ২০২০
এএটি