ঢাকা: মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে ভার্চ্যুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জারিকৃত বাণিজ্য ভিত্তিক অর্থ পাচার প্রতিরোধ নীতিমালা বাস্তবায়নে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।
সোমবার (১০ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি জানায়।
এতে অংশ নেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্ম সচিব, বিএফআইইউ’র প্রধান কর্মকর্তা, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বলেন, বিএফআইইউ, দুদক ও সিআইডি’র যৌথ উদ্যোগে প্রণীত ‘বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন ঝুঁকি নিরূপণ প্রতিবেদন’ এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং ও বিদেশে অর্থ পাচারকে ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিএফআইইউ, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি গ্রুপ গঠন করে আলোচ্য গাইডলাইনটি প্রণয়ন করে।
আরও বক্তব্য দেন, অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামস-উল-ইসলাম, কৃষি ব্যাংকের এমডি আলী হোসেন প্রধানীয়া, রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ প্রমুখ।
সভায় বিএফআইইউ’র পক্ষ থেকে গাইডলাইন্স উপস্থাপনকালে বাংলাদেশে সংঘটিত বিস্তারিত অবহিত করা হয় যে চীন কিংবা ভারতের মতো দেশগুলো থেকে অর্থপাচার বেশি হলেও দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশই বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের জন্য বাণিজ্যভিত্তিক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে বাণিজ্য ভিত্তিক অর্থ পাচার প্রতিরোধ নীতিমালা জারি করেছে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, অর্থ পাচার হয়ে গেলে ফেরত আনা কঠিন। এক্ষেত্রে পাচারকৃত অর্থ ফেরত দেওয়া উন্নত দেশগুলোর ভূমিকাও স্বচ্ছ নয়। তাদের আগ্রহ ও অঙ্গীকারের যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। ফলে কমপ্লায়েন্স ইউনিটে পর্যাপ্ত লোকবল বহালসহ বৈদেশিক বাণিজ্যে দক্ষ জনবল নিশ্চিতকরার মাধ্যমে পাচার প্রতিরোধে ব্যাংকসমূহকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
এসই/এনটি