ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২০
অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে

ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশে চায়ের চাহিদা বাড়ছে, বিদেশেও বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে চা রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে।

একসময় চা বাংলাদেশের অন্যতম রপ্তানি পণ্য ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, মধ্যপ্রচ্যের রিভিন্ন দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে বাংলাদেশে উৎপাদিত চায়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

রোববার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় সরকারি বাসভবনের অফিস কক্ষে বাংলাদেশের চা শিল্পের উন্নয়ন সংক্রান্ত সভায় তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং নতুন জাত উদ্ভাবনে গবেষণা বাড়াতে হবে এবং উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। একই সঙ্গে চা বাগানের সংখ্যাও বাড়াতে হবে। এজন্য চা বাগানের মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। সরকার দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। দেশে চা বাগানের সংখ্যা বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে, এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে।

টি বোর্ডের ‘উন্নয়নের পথনকশা’ বাস্তবায়নে চা বাগান মালিকদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন থেকে ১৯৫৮ সালের ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রথম বাংগালি চা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। দেশের চা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলেন। চা শিল্পের উন্নয়নে বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং চা বাগানের মালিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দিন দিন চা’র অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়ছে। সে কারণে প্রত্যাশিত রপ্তানি বাড়ছে না। চায়ের উৎপাদন বাড়িয়ে রপ্তানি বৃদ্ধি করতে হবে।

বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের উন্নয়নের বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন এবং সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী এ বিষয়ে আন্তরিকতার সঙ্গে সবধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানায়, দেশে ২ লাখ ৭৮ হাজার ১৪১.৬৯ একর জমিতে ১৬৭টি চা বাগানে ২০১৯ সালে ৯৬.০৭ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাতি হয়েছে। এসময় অভ্যন্তরীণ চায়ের চাহিদা ছিল ৯৫.২০ মিলিয়ন কেজি।

সভায় বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, বাংলাদেশ টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল জহিরুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) ওবায়দুল আজম, বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এম শাহ আলম, সদস্য আরদাশির কবীর, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (রপ্তানি) জিনাত আরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০২০
এমআইএইচ/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।