ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বিদেশি শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
বিদেশি শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে

ঢাকা: করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে বিদেশি শিল্প-কারখানা স্থানান্তরের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, এ সুযোগ কাজে লাগাতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালুর পাশাপাশি অন্য নিয়ম-কানুন সহজ করতে হবে।



বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শিল্প সচিব কেএম আলী আজমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এছাড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও করপোরেশনের প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকরা ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য বিসিক শিল্পনগরী ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য চিনিকলের অব্যবহৃত জমিতে শিল্প স্থাপনের সুযোগ করে দিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে চাঙা করতে হবে। বাংলাদেশের বিপুল শ্রমশক্তি, অভ্যন্তরীণ বিশাল বাজার এবং করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক সিদ্ধান্তে শিল্প উৎপাদন কার্যক্রম গতিশীল হয়েছে।

‘বর্তমান সরকার দেশেই নিজস্ব ব্র্যান্ডের গাড়ি উৎপাদন করবে। এ লক্ষ্যে অটোমোবাইল শিল্পনীতি হচ্ছে। পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আমদানিবিকল্প পণ্য উৎপাদনে হালকা প্রকৌশল শিল্পখাতের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগানো হবে।

শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, চিনিকলগুলোর চিনি উৎপাদনের পরিমাণ বাড়াতে আখের উন্নত জাত সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হবে।  

প্রতিমন্ত্রী অডিট টিম গঠন করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য করপোরেশনের অর্থনৈতিক অবস্থা যাচাইয়ের পরামর্শ দেন।  

সভায় জানানো হয়, বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে তদারকি করতে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে ৭টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিম প্রতিমাসে সরেজমিনে প্রকল্পের উন্নয়ন কার্যক্রম এবং সমস্যা চিহ্নিত করে এডিপি পর্যালোচনা সভায় প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে। এর ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট যে কোনো সমস্যা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।